সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের পর চীনের কেন্দ্রীয় সরকার ২০ কোটি ইউয়ান বরাদ্দ করে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ও ছিং হাই প্রদেশে আধুনিক তিব্বতী ওষুধ কারখানা প্রতিষ্ঠা করে । এসব কারখানা ঐতিহ্যবাহী তিব্বতী ওষুধ উত্পাদন ও প্রক্রিয়াকরণকে আধুনিক উচ্চতর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যার সংগে সমন্বয় করে তিব্বতী ওষুধ তৈরির প্রযুক্তিকে আরো বিজ্ঞানসম্মত , ব্যাপকায়ন ও মানসম্মত করে তুলেছে ।
তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য বিভাগের তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষুধ পরিচালনা ব্যুরোর কর্মকর্তা পাসাং বলেন , তিব্বতের তিব্বতী ওষুধ উত্পাদনকারী কারখানাগুলো ৩ শ' ষাটেরও বেশি ধরণের তিব্বতী ওষুধ তৈরি করতে সক্ষম । এগুলোর মধ্যে ২৯৪টি তিব্বতী ওষুধ জাতীয় পর্যায়ের মানের সমান , ২০টি তিব্বতী ওষুধ চীনের চীনা ওষুধের সংরক্ষিত তালিকা এবং ১৬টি তিব্বতী ওষুধ জাতীয় ওষুধ অভিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে ।
সংস্কার ও উন্মুক্তকণের পর তিব্বতের তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষুধের শিক্ষারও দ্রুত উন্নতি হয়েছে । ১৯৮৯ সালে তিব্বত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বতী চিকিত্সা বিভাগ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তিব্বতী চিকিত্সা বিদ্যালয়ের সংগে মিলে তিব্বতের তিব্বতী চিকিত্সা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে চীনের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের অনোমদন পেয়ে তিব্বতের স্বাধীন তিব্বতী চিকিত্সা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয় । তখন থেকে তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষূধের উচ্চ শিক্ষা আনুষ্ঠানিকভাবে সারা দেশের সাধারণ উচ্চ শিক্ষার তালিকাভূক্ত হয়েছে । এটি হচ্ছে দেশ বিদেশে শীর্ষ পর্যায়ের তিব্বতী চিকিত্সা ও ওষুধ সংক্রান্ত পেশাজীবী ব্যক্তিদের গড়ে তোলার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ।
1 2 3 |