v চীনের বিশ্ব কোষv চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগ
তিব্বতের পর্যটন শিল্প
2009-03-04 11:23:35

 চীনের তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের তুষারাচ্ছন্ন নগরের নিসর্গ , ইতিহাস , সংস্কৃতি , ধর্ম ও আচার অনুষ্ঠান প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে । লাসা , রখাচে , আলি , শাননান ও লিনচিসহ তিব্বতের প্রধান প্রধান এলাকা ও নগর সবই অনন্য সাধারণ পর্যটন সম্পদে সমৃদ্ধ ।

প্রথমে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী লাসার কথা নিয়ে আলোচনা করা যাক । তিব্বতীদের মনে লাসা একটি তীর্থ শহর ও দেবতা থাকার স্থান । খ্রীষ্টীয় ৬৩৩ সালে তত্কালীন তিব্বতী জাতির বীর সোংটসান গাম্বো টুবো রাজ্যের রাজধানী এখানে স্থানান্তর করেন এবং পোতালা প্রাসাদ ও জোখাং মন্দির নির্মাণের কাজ শুরু করেন ।

আস্তে আস্তে লাসা তিব্বত মালভূমির একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে পরিণত হয় , যার লোকসংখ্যা সারা তিব্বতে সবচেয়ে বেশি ছিল । বিশেষ করে সপ্তদশ শতাব্দির পর গেরুপন্থী জ্যান্ত বুদ্ধ চীনের সর্বশেষ রাজবংশ – ছিং রাজবংশের কেন্দ্রীয় সরকারের অভিষেক ও সমর্থন পাওয়ার পর দালাই লামা তিব্বতের স্থানীয় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় মর্যাদা লাভ করেন এবং প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেন ।

তখন লাসা আবারো তিব্বতের স্থানীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে পরিণত হয় । সেসময় থেকে এ শতাব্দির গোড়ার দিক পর্যন্ত লাসায় বিপুল সংখ্যক বসতবাড়ি, দোকানপাট , হোটেল ও রেস্তোঁরা দেখা দেয় । জোখাং মন্দিরের আশেপাশের রাস্তাও গড়ে উঠে এবং কেনাবেচাও সরগম হয়ে উঠে । তখন থেকে লাসা তিব্বতের একটি সবচেয়ে প্রধান পণ্য সংগ্রহ ও খালাসের একটি স্থানে পরিণত হয় ।

১৯৬৫ সালে তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয় এবং লাসা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী হিসেবে নির্ধারণ করা হয় । পাশাপাশি লাসা চীন সরকারের সবচেয়ে আগে নির্ধারিত ২৪টি প্রখ্যাত ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক শহরের অন্যতম । লাসায় অবন্থিত জোখাং মন্দির , পোতালা প্রসাদ , নোর্বু লিংকা , ড্রেপুং মন্দির সেরা মন্দির ও গাদেন মন্দির সবই চীনের গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত পুরাকীর্তির তালিকাভূক্ত হয়েছে । লাসায় সবসময় সুগভীর ধর্মীয় পরিবেশ ও সমৃদ্ধ ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি বিরাজমান রয়েছে ।

1 2
  • সাক্ষাত্কার
  • সর্বশেষ সংবাদ
  • অন-লাইন জরীপ
     
    © China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
    16A Shijingshan Road, Beijing, China