শান নান বিভাগের চানাং জেলায় অবস্থিত সামিয়ে বৌদ্ধবিহার তিব্বতের বৌদ্ধ মহলে পবিত্র স্থান দখল করে আছে । তত্কালীন তিব্বতী রাজা ট্রিসোং দেসেন বৌদ্ধধর্ম প্রচারের জন্যে ভারতের বৌদ্ধ পন্ডিত পদ্মাসামভাবাকে স্বাগত জানানোর জন্যে এ বৌদ্ধবিহার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন । এটি ৭৭৯ সালে নির্মিত হয় । সামিয়ে বৌদ্ধবিহার সেসময়কার মধ্য চীন , তিব্বত ও ভারতের স্থাপত্যশৈলির সমন্বয়ে নির্মিত ।
বৌদ্ধবিহারের নিম্ন স্তর হচ্ছে চীনের হান জাতির আদলের স্থাপনা , মধ্যম স্তর হচ্ছে তিব্বতী জাতির বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্থাপনা এবং শীর্ষ স্তর হচ্ছে ভারতের আদলের স্থাপনা । এ বিহার হচ্ছে প্রথাগত সন্নাসীদের থাকা তিব্বতের প্রথম পূর্ণাংগ বৌদ্ধবিহার ।
এ বিহারে সুরক্ষিত রয়েছে থুবো রাজবংশের পর তিব্বতের বিভিন্ন আমলের ইতিহাস , ধর্ম , স্থাপনা , দেয়ালচিত্র ও ভাস্কর্যের সংগে সম্পর্কিত নানা ধরণের মূল্যবান পুরাকীর্তি । বলা যায় , এ বিহারে তিব্বতের প্রাচীনকারের সভ্যতার ব্যাপক সমাবেশ ঘটেছে ।
যারা শান নান এলাকায় বেড়াতে আসেন , তারা নানা ধরণের স্থানীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন পণ্যদ্রব্য কিনতে পারেন । যেমন চানাং ও কোংগার জেলার পুলু ও তিব্বতী গন্ধদ্রব্য , চোনগিয়ে জেলার ঘির প্রদীপ ও গন্ধদ্রব্য পুড়ার চুল্লী , নেদোং জেলার গালিচা , তিব্বতী লেপ ও তিব্বতী কেক , গিয়াচা জেলার পাথরের কড়াই ও বাসন এবং লোজি জেলার তলোয়ার । এসব জিনিসপত্রে তিব্বতী জাতির স্পষ্ট ছাপ দেখা যায় ।
পাশাপাশি শান নানে আরো রয়েছে তিব্বতী জাতির কাছে দেব পাহাড় বলে পরিচিত বেশ কিছু তুষারাচ্ছন্ন পাহাড় আছে । সেখানে আরো রয়েছে ইয়াং চো ইয়ুং ও লামলাচোর মত অনেক তীর্থ স্থানীয় হ্রদ । শান নানের ইয়ালোংহো দর্শনীয় এলাকার পাহাড় , হ্রদ , উপত্যকা ও উষ্ণপ্রস্রবণ সবসময় চীন ও অন্যান্য দেশের পর্যটকদের দৃষ্টি আকষণের কেন্দ্রবিন্দু । 1 2 |