নভেম্বর ২৩: পর্তুগিজ সংসদের স্পিকার হোসে পেদ্রো আগুয়ার-ব্রাঙ্কোর আমন্ত্রণে, চীনের জাতীয় গণকংগ্রেস (এনপিসি)-র স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান চাও লে চি, গত ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেদেশ সফর করেন।
সফরকালে চাও লে চি পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট মার্সেলো রেবেলো ডি সুসা, প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রো, ও সংসদের স্পিকার হোসে পেদ্রো আগুয়ার-ব্রাঙ্কোর সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন।
ডি সুসার সঙ্গে বৈঠকে চাও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দু’দেশের নেতাদের নেতৃত্বে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায়, দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে উন্নত হয়েছে; দু’দেশের সাংস্কৃতিক যোগাযোগ সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হয়েছে। পর্তুগাল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এ আরও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে, চীন-ইইউ সম্পর্ক উন্নয়নে আরও বেশি অবদান রাখবে বলে আশা করা যায়।
ডি সুসা জবাবে বলেন, চলতি বছর হলো দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৪৫তম বার্ষিকী এবং ম্যাকাও-এর চীনে ফিরে আসার ২৫তম বার্ষিকী। পর্তুগাল চীনের সাথে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ জোরদার করতে এবং চীনের সাথে বাণিজ্য, নতুন জ্বালানিসম্পদ, নীল অর্থনীতি ও টিজিটাল অর্থনীতি খাতে সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। পর্তুগাল বহুপক্ষবাদের পক্ষে থাকবে এবং জাতিসংঘের ভূমিকা ও আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন করে যাবে।
লুইস মন্টেনেগ্রোর সঙ্গে সাক্ষাতে চাও বলেন, চীন বরাবরই পর্তুগালের সাথে বিনিয়োগ ও সহযোগিতা বাড়াতে চায় এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক কাঠামোয় অবাধ বাণিজ্য, বিশ্বের নিরাপত্তা ও জলবায়ুর পরিবর্তন সমস্যায় পারস্পরিক যোগাযোগ জোরদার করতে আগ্রহী।
জবাবে মন্টেনেগ্রো বলেন, পর্তুগাল বরাবরই ‘এক-চীননীতি’ অনুসরণ করে আসছে। তিনি ম্যাকাওয়ে ‘এক দেশ, দুই সামাজিক ব্যবস্থা’ নীতি বাস্তবায়নের প্রশংসা করেন।
হোসে পেদ্রোর সঙ্গে বৈঠকে চাও বলেন, এনপিসি পর্তুগিজ সংসদের সাথে আইন ও ত্বত্তাবধানের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে চায়।
জবাবে পেদ্রো বলেন, পর্তুগিজ সংসদ এনপিসি’র সাথে সহযোগিতা জোরদার এবং দু’দেশের জনগণের মৈত্রী বাড়ানোর জন্য অবদান রাখতে আগ্রহী। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)