প্রস্তুত ঢাকা-যশোর নতুন রেলপথ, চালু শিগগিরই
2024-11-24 16:37:37

নভেম্বর ২৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনের দক্ষিণের প্ল্যাটফর্মে চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। শিগগিরই চালু হতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের লাখো মানুষের স্বপ্নের রেললাইন ঢাকা-যশোর রেললাইন। রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা দিয়ে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিসীমার এই ট্রেন চড়ার অপেক্ষায় তারা।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত নেওয়া রেলপথ প্রকল্পের নাম পদ্মা সেতু রেলসংযোগ। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ পদ্মাসেতু রেল-সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড ( সিআরইসি) । সেই সাথে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালট্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় সরকার ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৬৯ কিলোমিটার নতুন এই রেলপথ নির্মাণ করেছে। রেলপথটি ঢাকার কমলাপুর থেকে শুরু হয়ে কেরানীগঞ্জ, মাওয়া, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং নড়াইলের ওপর দিয়ে যশোর গিয়ে শেষ হয়েছে।  এর মধ্যে গত বছরের ১০ অক্টোবর রেলপথটির একাংশ চালু হয়। ট্রেন চলাচল শুরু হয় ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত।

আপস-

পদ্মা রেল সেতু হয়ে নতুন ট্রেন চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, এতে করে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগে উন্মোচিত হবে এক নতুন দিগন্ত।  কম সময়ে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও মালামাল পরিবহন করা যাবে সহজ ও দ্রুততর সময়ে।

নতুন এ  ট্র্যাক করা হয়েছে চীনা প্রযুক্তিতে। ব্যবহার করা হয়েছে কংক্রিটের স্লিপার। এটি টেকসই। আবার এর রক্ষণাবেক্ষণ খরচও অনেক কম। মোটকথা, নতুন এ রেললাইন দেশের রেল নেটওয়ার্ককে নিয়ে গেছে বিশেষ উচ্চতায়।

দীর্ঘ ছয় বছর এই রেলপথে নির্মাণে কাজ করেছে সাতশ’র বেশি চীনা নাগরিক। পাশাপাশি কাজের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশের ১০ হাজা্রেরও বেশি কর্মী। চীনা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করে আধুনিক রেলপথ নির্মাণে কাজের সুযোগ পেয়ে খুশি বাংলাদেশের কর্মীরাও। 

তবে দীর্ঘ এ যাত্রায় নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে যেতে হয়েছে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানকে।

দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফসল এই রেললাইন পুরোপারি চালু হলে নিজেদের কাজ স্বার্থক হবে বলে করছেন চীনা কর্মকর্তারা। পাশাপাশি চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে এটি।

নতুন এই রেলপথ চালু হলে শুধু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতই সহজ হবে না, এটি দেশের বৃহত্তম দুটি সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রাম ও মোংলাকে সরাসরি সংযুক্ত করে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

নাহার/ফয়সল