নভেম্বর ২৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: সম্প্রতি চীনের শাংহাইতে শেষ হলো সিক্স-জি গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্স। আর এ সম্মেলনের পরই চীনের সিক্স-৬ প্রযুক্তি নতুন করে পেয়েছে গতি। এর মধ্যে চীনের সিক্স-জি কতটা এগিয়েছে, সে সম্পর্কে জানিয়েছেন এ প্রযুক্তির প্রসারে গঠিত আইএমটি-২০৩০ নামের একটি গ্রুপ। আগামী বছরের মাঝামাঝিতে সিক্স-জি প্রযুক্তির একটি আদর্শ রূপরেখা তৈরি করবে গ্রুপটি।
আইএমটি-২০৩০ (৬জি) –এর প্রধান ওয়াং চিছিন জানালেন, ‘এই বছর, আমরা সিক্স-জি সম্পর্কিত ওয়্যারলেস ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির পরীক্ষা করেছি, যার মধ্যে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির সন্নিবেশ, এআই, টেলিকমিউনিকেশন, এবং স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কের সমন্বিত সংযোগ রয়েছে৷ ইন্টারনেটের জন্য আমরা সফলভাবে একটি সর্বজনীন পদ্ধতিরও বাস্তবায়ন করেছি।’
ওয়াংয়ের মতে, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে চীনে সিক্স-জি প্রযুক্তির মান নিয়ে গবেষণা শুরু হবে। তার মতে, গবেষণা শেষে ২০২৯ সালের মার্চের মধ্যেই চালু হবে সিক্স-জি প্রযুক্তির প্রথম সংস্করণ।
কিন্তু ফাইভ-জি’র তুলনায় এই সিক্স-জি কী করে আমাদের জীবনযাত্রা বদলে দেবে? এ নিয়েও ধারণা দিয়েছেন ওয়াং চিছিন। তিনি বললেন, মানুষের মধ্যে এবং মানুষ ও বস্তুর মধ্যে সংযোগ সহজ করেছে ফাইভ-জি। সিক্স-জি প্রযুক্তিতে মানুষের সঙ্গে বস্তুর যোগাযোগ আরও শক্তিশালী হবে। সেইসঙ্গে আসবে আরও কিছু নতুন প্রজন্মের বুদ্ধিমান প্রযুক্তি। ভবিষ্যতে, আমরা কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়ায় আরও অনেক রোবট দেখবো। সেইসঙ্গে গৃহস্থালির কাজ থেকে শুরু করে শিক্ষা ক্ষেত্রেও দেখবো নতুন কিছু ধরন।’
চীনের শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মতে, এ প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য, চীন সরকার টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান ও গবেষণাগারগুলোর সঙ্গে চীনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আদান-প্রদান প্রক্রিয়ার উন্নয়নেও কাজ করবে।
ফয়সল/শান্তা
তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি