নভেম্বর ২১: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ব্রাজিল সফরকালে ১১০৬ ব্রাজিলিয়ান উত্তরদাতাদের জন্য ‘ব্রাজিলিয়ান সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল’-এর সহযোগিতায় নিউ এরা ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সিজিটিএন এক জরিপ পরিচালনা করে। এতে দেখা যায় যে, উত্তরদাতারা সাধারণত বিশ্বাস করেন চীন-ব্রাজিল সম্পর্ক দীর্ঘকাল ধরে দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রকে ছাড়িয়ে গেছে এবং এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় ও সহযোগিতা বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে দুটি দেশ ‘গ্লোবাল সাউথের’ স্বার্থ রক্ষায় এবং একটি ন্যায্য এবং আরও যুক্তিসঙ্গত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আরও বেশি প্রেরণা জুগিয়েছে।
এ বছর চীন ও ব্রাজিলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। দুই দেশ ভালো বন্ধু, যারা একই দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভালো অংশীদার; হাত ধরে সামনে এগিয়ে যায়। উত্তরদাতারা চীনের আধুনিকীকরণের অর্জন এবং ধারণাগুলোকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। উত্তরদাতাদের ৯৭.৬ শতাংশ মনে করেন যে, চীনের অর্থনীতি শক্তিশালী। উত্তরদাতাদের ৯৬.৯ শতাংশ মনে করেন, চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুত গতির। উত্তরদাতাদের ৮৯.৮ শতাংশ বিশ্বাস করেন যে, চীনের অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখবে। উত্তরদাতাদের ৯৫.৬ শতাংশ বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে চীনের অসামান্য অবদানকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। উত্তরদাতাদের ৯৮.২ শতাংশের মতে, চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি মজবুত। উত্তরদাতাদের ৯২.৯ শতাংশের মতে, চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের স্তর উচ্চ এবং এর শক্তিশালী ক্ষমতা রয়েছে। উত্তরদাতাদের ৯৩.৯ শতাংশের মতে, চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি বিশ্ব উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছে।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)