নভেম্বর ২০: গত সোমবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং জি২০ নেতৃবৃন্দের ১৯তম শীর্ষসম্মেলনের প্রথম পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। এতে তিনি বিশ্বের উন্নয়নে সমর্থন দিতে চীনের ৮টি কর্মকাণ্ড ঘোষণা করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের এই ভাষণে চীনা পদ্ধতি উত্থাপন করা হয়েছে। যা বৈশ্বিক প্রশাসনকে আরও উন্নত করতে, টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এবং ‘গ্লোবাল সাউথের’ সাথে হাত মিলিয়ে উন্নয়ন বাস্তবায়নের জন্য নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেরিও রাজ্যের অ্যাসেম্বলির ডেপুটি স্পিকার জুলিয়া ওলিভেইরা ফ্রেইটাস জানান, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণে উল্লেখিত ৮টি কর্মকাণ্ড অত্যন্ত প্রশংসনীয়। চীন উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণ করে এবং কম উন্নত দেশগুলোকে সাহায্য করার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দারিদ্র্য, সমস্যা ও দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় চীনের অভিজ্ঞতা কম উন্নত দেশগুলোকে অনেক বেশি সহায়তা করতে পারে।
আর্জেন্টিনার চীন-লাতিন আমেরিকা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক গুস্তাভো গিরার্ডো জানান, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তার ভাষণে বহুপক্ষবাদের ওপর জোর দিয়েছেন, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বর্তমানে বিশ্বে সংরক্ষণবাদ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বহুপক্ষবাদে অবিচল থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চীন এখন শক্তিশালী হয়েছে এবং শুধু মুক্ত বাণিজ্যের পক্ষেই নয়, বরং বহুপক্ষবাদের পথেও আহ্বান জানাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের ভাষণ আন্তর্জাতিক সমাজকে সঠিক পথ দেখিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)