নভেম্বর ১৮: এক বছর পর সারা বিশ্ব আবারও চীন-মার্কিন শীর্ষনেতাদের বৈঠকের ওপর নজর রেখেছে। শনিবার চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন লিমায় বৈঠক করেছেন।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানদের এই বৈঠকটি মার্কিন নির্বাচনের পরেই অনুষ্ঠিত হলো। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চীনের নীতি কৌশলগত ও উচ্চ দায়িত্ববোধ প্রদর্শন করেছে, চীন-মার্কিন সম্পর্কে অবদান রাখার জন্য বাইডেন এবং তার উত্তরসূরিদের সঙ্গে কাজ করার আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা প্রকাশ পেয়েছে।
গত চার বছরে, চীন-মার্কিন সম্পর্ক উত্থান-পতনের অভিজ্ঞতা অর্জন করলেও সাধারণভাবে তা স্থিতিশীল ছিল। উভয় পক্ষ ২০টিরও বেশি যোগাযোগব্যবস্থা পুনরুদ্ধার বা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং কূটনীতি, নিরাপত্তা, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, সামরিক, মাদকবিরোধী, মানবিক খাতে ইতিবাচক ফলাফল অর্জন করেছে। চীন-মার্কিন সম্পর্কের জন্য, চীন বেশ কয়েকটি নীতি ও প্রস্তাবনা পেশ করেছে, যেমন চীন-মার্কিন সম্পর্ককে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং জয়-জয় সহযোগিতার তিনটি নীতি অনুসরণ করা উচিত বলে জোর দেওয়া হয়েছে।
‘দুই রাষ্ট্রপ্রধানের কৌশলগত দিকনির্দেশনায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে বিকাশ ও সমৃদ্ধির জন্য পৃথিবী যথেষ্ট বড়।" তিন মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন সরকার গঠিত হবে। আশা করা যায় যে, উভয় পক্ষই পারস্পরিক শ্রদ্ধা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং জয়-জয় সহযোগিতার নীতিগুলোকে সমুন্নত রাখবে, চীন-মার্কিন সম্পর্কের একটি মসৃণ উত্তরণ অর্জন করবে এবং নতুন যুগে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি উপায় খুঁজে বের করবে, যা উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর হবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)