নভেম্বর ১৭: জি-২০ শীর্ষসম্মেলন ২০২৪-এর থিম হল ‘একটি ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব এবং একটি টেকসই পৃথিবী নির্মাণ’। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং-এর দৃষ্টিতে, ‘জি২০-এর সদস্যদের গোটা বিশ্ব এবং আঞ্চলিক শক্তির সমন্বিতভাবে প্রধান বিষয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত এবং সব দেশের উন্নয়ন, মানবজাতির কল্যাণ এবং বিশ্বের অগ্রগতিতে ভূমিকা পালন করা উচিত্।’
চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন বিশ্বের নেটিজেনদের মধ্যে একটি জরিপ পরিচালনা করেছে। এতে দেখা যায় যে, উত্তরদাতারা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বক্তব্যের সাথে একমত এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক শাসনের উন্নয়নে চীনের অবদানের বিষয়ে তারা ইতিবাচক কথা বলেছেন।
একের পর এক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে এবং জি২০ সদস্যদের ‘শাসনের জন্য প্রেসক্রিপশন’ জরুরি প্রয়োজন। জরিপে, উত্তরদাতাদের ৮০.৯ শতাংশ বলেছেন যে, জি২০ হল বহুপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করা এবং উন্নয়নের সুযোগগুলি ভাগাভাগি করার জন্য সব পক্ষের একটি প্ল্যাটফর্ম এবং আন্তর্জাতিক সমাজের অনিশ্চয়তা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সব পক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। চ্যালেঞ্জের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ‘গ্লোবাল সাউথের’ দেশগুলো।
বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ এবং ‘গ্লোবাল সাউথের’ একটি গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসাবে, চীন সবসময় জি-২০ এর বহুপাক্ষিক সহযোগিতা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিষয়ে ‘গ্লোবাল সাউথের’ দেশগুলির কণ্ঠস্বর এবং প্রতিনিধিত্বকে আরও উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। চীনই প্রথম দেশ, যারা আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০-তে যোগদানের জন্য সমর্থন দিয়েছে। ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ ইনিশিয়েটিভ যৌথ নির্মাণে ১৫০টিরও বেশি দেশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবং শতাধিক দেশ এবং জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগের সহযোগিতা প্রচার করেছে। চীন সবসময় বিশ্বের দক্ষিণের দেশগুলির সাথে উন্নয়নের সুযোগগুলি ভাগাভাগি করে নিয়েছে। উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতিতে কাজ করেছে এবং বিশ্ব শাসনে অবদান রেখেছে চীন।
জরিপে ৯২.৮ শতাংশের উত্তরদাতারা মনে করেন যে, চীন বিশ্ব প্রশাসনে ‘গ্লোবাল সাউথের’ দেশগুলির প্রতিনিধিত্ব এবং কণ্ঠস্বর উন্নত করতে দুর্দান্ত অবদান রেখেছে; ৯১.৪ শতাংশ উত্তরদাতারা বিশ্বাস করেন যে, চীন ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলির উন্নয়ন, পুনরুজ্জীবন ও সাধারণ সমৃদ্ধির মেরুদণ্ড।
(জিনিয়া/তৌহিদ/ফেই)