নভেম্বর ১৬: পেরু সময় গতকাল (শুক্রবার) সকালে লিমায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের অবকাশে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লরেন্স ওং-এর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন।
প্রেসিডেন্ট সি উল্লেখ করেন যে, চীন ও সিঙ্গাপুর একে অপরের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী অংশীদার। গত বছর চীন-সিঙ্গাপুর সম্পর্ক একটি ব্যাপক, উচ্চ-মানের, অগ্রগামী অংশীদারিত্বে উন্নীত হয়, যা চীন-সিঙ্গাপুর সম্পর্কের ভবিষ্যত উন্নয়নে একটি সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আগামী বছর চীন-সিঙ্গাপুর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩৫তম বার্ষিকী। দু’দেশের বন্ধুত্বের সাধারণ দিকটি দৃঢ়ভাবে উপলব্ধি করা, উচ্চ-স্তরের বিনিময় জোরদার করা এবং উচ্চ-মানের উন্নয়নের একটি নতুন অধ্যায় খুলতে চায় চীন। সিঙ্গাপুর চীনের উন্নয়নের নতুন সুযোগগুলি গ্রহণ করা, চীনের সঙ্গে সহযোগিতামূলক প্রকল্পগুলি এগিয়ে নেওয়া, সহযোগিতার মান আরও গভীর করা এবং ক্রমাগত সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিকে স্বাগত জানায়। চীন জাতিসংঘ ও এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো বহুপাক্ষিক অঙ্গনে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সমান ও সুশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্ব এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের পক্ষে সহযোগিতা বাড়াতে চায়।
লরেন্স ওং বলেন, সিঙ্গাপুর ও চীনের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের ঘনিষ্ঠ লেনদেন রয়েছে এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের একটি শক্তিশালী গতি বজায় রয়েছে। সিঙ্গাপুর তাইওয়ান ইস্যুতে চীন সরকারের অবস্থান বুঝতে পারে, যে কোনো ধরনের ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার’ বিরোধিতা করে এবং দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি মেনে চলে। সিঙ্গাপুর আগামী বছর দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩৫তম বার্ষিকী উদযাপনের সুযোগ কাজে লাগিয়ে একটি ব্যাপক, উচ্চ-মানের, দূরদর্শী অংশীদারিত্বের নতুন অধ্যায় রচনা করবে। সিঙ্গাপুর বহুপাক্ষিক খাতে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করা, সংরক্ষণবাদের বিরোধিতা করা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধা এবং উদারীকরণ প্রচার করা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন রক্ষা করতে চায়।
(জিনিয়া/তৌহিদ/ফেই)