নভেম্বর ১৬: পেরু সময় শুক্রবার সকালে লিমায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) নেতাদের অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের ফাঁকে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সিওক-ইউ বৈঠক করেছেন।
সি চিন পিং দুই বছর আগে বালিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, এরপর আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিস্থিতি পরিবর্তন হলেও, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার উচিত আদান-প্রদান জোরদার করা, সহযোগিতা গভীর করা, চীন-দক্ষিণ কোরিয়া কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বের সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন বেগবান করা, দুই দেশের জনগণের আরও কল্যাণ নিশ্চিত করা এবং আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে আরও বেশি অবদান রাখা।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন অটলভাবে বহির্বিশ্বে উচ্চ-স্তরের উন্মুক্তকরণ প্রসারিত করবে এবং চীনে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও ব্যবসা সম্প্রসারণে আরও বেশি কোরিয়ান কোম্পানিকে স্বাগত জানায়। আন্তর্জাতিক মুক্ত বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখতে উভয় পক্ষের একসাথে কাজ করা উচিত উল্লেখ করে জনাব সি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া চীনা নাগরিকদের দেশটি ভ্রমণে আরও সহজ ব্যবস্থা চালু করবে।
বৈঠকে ইউন সিওক-ইউয়ে বলেন যে, চীন বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি এবং বিশ্বের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দক্ষিণ কোরিয়া চীনকে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী অংশীদার হিসেবে মনে করে। দক্ষিণ কোরিয়া এক-চীন নীতিকে সম্মান করে এবং তা পরিবর্তন হবে না। পাশাপাশি, চীনের আধুনিকীকরণ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া এবং দুই দেশের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা আরও জোরদার করতে চায়। কোরিয়ান নাগরিকদের জন্য চীনের ভিসা-মুক্ত ব্যবস্থাকে স্বাগত জানান তিনি। পাশাপাশি, দুই দেশের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়াতে চীনের সঙ্গে ব্যক্তি যোগাযোগ এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়া-প্যাসিফিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার মতো বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় যোগাযোগ ও সহযোগিতা করা এবং যৌথভাবে বহুপাক্ষিকতা ও মুক্ত বাণিজ্য রক্ষায় চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায়।
(জিনিয়া/তৌহিদ/ফেই)