নভেম্বর ১৬: আগামী সোমবার ও মঙ্গলবার ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোয় জি-২০-এর ১৯তম শীর্ষসম্মেলন আয়োজিত হবে। এ উপলক্ষ্যে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা চায়না মিডিয়া গ্রুপে বিশেষ সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। এতে চীন-ব্রাজিল সম্পর্ক উন্নয়ন, জি-২০ শীর্ষসম্মেলনের সুযোগে বিশ্ব পরিচালনা এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন জনাব লুলা।
তিনি বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং ব্রাজিল সফর করবেন। যা দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। চীন এশিয়ার অসাধারণ দেশ এবং ব্রাজিল লাতিন আমেরিকার বৃহত্তম দেশ। দু’দেশের অনেক মিল আছে। তিনি আশা করেন, ব্রাজিল ও চীন পরস্পরের কাছ থেকে শিখতে পারবে।
বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি মন্থর, একের পর এক বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ দেখা যাচ্ছে এবং নিরাপত্তা বিশৃঙ্খলা, ভারসাম্যহীন উন্নয়ন এবং শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা ক্রমশ প্রকট হয়ে উঠছে। বিশ্ব উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য স্থিতিশীলতা হিসেবে চীন ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রিও সম্মেলনের সময়, প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বিভিন্ন সদস্য দেশের নেতাদের সাথে উন্নয়ন সহযোগিতা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন, সব পক্ষের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তুলবেন এবং যৌথভাবে বিশ্ব প্রশাসনের জন্য একটি পরিকল্পনা করবেন।
চীন ও ব্রাজিলের সহযোগিতার বিষয়ে লুলা বলেন, ব্রাজিলে চীনের তৈরি বৈদ্যুতিক যানবাহন রপ্তানি এবং ব্রাজিলে চীনা কারখানা স্থাপন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চলতি বছর, ব্রাজিলের গাড়ি বিক্রি ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। যা খুব ভালো একটি খবর। ভবিষ্যতে চীনের কাছ থেকে ব্রাজিল প্রযুক্তি, ব্যাটারি ও মহাকাশ খাতে সহযোগিতা করতে পারবে। যা ব্রাজিল, চীন ও সারা বিশ্বের জন্য খুবই ভালো বিষয়।
প্রেসিডেন্ট লুলা আরো বলেন, চীন সক্রিয়ভাবে ব্রাজিলের জ্বালানি রূপান্তরে অংশ নিয়েছে। যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এভাবে চীন অনেক অবদান রেখেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)