১৫ নভেম্বর: ‘চীন ২০৩০ সালের আগে কার্বনের সর্বোচ্চ শিখর অর্জন এবং ২০৬০ সালের আগে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের চেষ্টা করবে’, ‘২০৩০ সালের মধ্যে, চীনের জিডিপির প্রতি ইউনিটের জন্য কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন ২০০৫- এর তুলনায় ৬৫ শতাংশের বেশি কমে যাবে’। চীন সক্রিয়ভাবে ব্যবহারিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু শাসনে আরও ‘চীনা সমাধান’ প্রদান করেছে।
চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন এবং চীনের রেনমিন ইউনিভার্সিটি ‘নিউ এরা ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের’ মাধ্যমে বিশ্বের ৩৮টি দেশের ৭ হাজার ৬৫৮ জন উত্তরদাতাদের মধ্যে পরিচালিত একটি প্রশ্নপত্র জরিপ চালিয়েছে। উত্তরদাতাদের ৮৩.৫% বৈশ্বিক জলবায়ু শাসনে চীনের অবদানকে ইতিবাচকভাবে মূল্যায়ন করেছেন। তারা বিশ্বাস করেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় চীনের ইতিবাচক পদক্ষেপগুলো একটি পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য যুগপৎ আত্মবিশ্বাস ও শক্তি যুগিয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, চীন তার সবুজ রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করছে: ২০০৫ সালের তুলনায় ২০২২ সালে চীনের কার্বন নির্গমনের তীব্রতা ৫১% কমে গেছে, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি ব্যাটারি গাড়ি চীনে ব্যবহৃত হচ্ছে; ফটোভোলটাইক স্থাপিত ক্ষমতা বহু বছর ধরে বিশ্বের প্রথম স্থান অধিকার করে আছে এবং বহু বছর ধরে বনের পরিমাণ ‘দ্বিগুণ বৃদ্ধি’ বজায় রেখেছে, এবং কৃত্রিম বনের এলাকা প্রথম স্থান অধিকার করেছে। ৮৩.৫% উত্তরদাতারা বিশ্বাস করেন যে, চীন গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক অগ্রগতি করেছে; ৮০.৩% উত্তরদাতারা বিশ্বাস করেন যে সবুজ শক্তি অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে চীন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছে। ৮০.২% উত্তরদাতা চীন সম্পর্কে ইতিবাচক বোধ ঐতিহ্যবাহী শিল্পের সবুজ রূপান্তর প্রচারের পদ্ধতির সাথে একমত; উত্তরদাতাদের ৮৫.৪% গাছ লাগানো এবং সবুজ এলাকা বৃদ্ধির জন্য চীনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
আফ্রিকান জলবায়ু রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট, ফটোভোলটাইক পাওয়ার জেনারেশন সিস্টেম ও আলোক সরঞ্জাম, এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কম-কার্বন প্রদর্শনী অঞ্চল তৈরিতে সহায়তা করা... যখন চীন নিজে সক্রিয়ভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়ার প্রচার করছে, এটি আরও ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোকেও সাহায্য করছে জলবায়ু পরিবর্তনে মোকাবিলা করার তাদের ক্ষমতা উন্নত করতে। সমীক্ষায়, ৮২.৬% বৈশ্বিক উত্তরদাতারা বিশ্বাস করেন যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় চীনের প্রচেষ্টা ইতিবাচক।
জরিপে অংশগ্রহণকারী উত্তরদাতাদের মধ্যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি এবং জাপানের মতো উন্নত দেশগুলির পাশাপাশি আর্জেন্টিনা, ভারত এবং কেনিয়ার মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর উত্তরদাতারাও ছিলেন।
(স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)