নভেম্বর ১৫: স্থানীয় সময় ১৪ নভেম্বর, পেরুর ‘এল পেরুয়ানো’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের একটি লেখা। প্রকাশিত নিবন্ধের শিরোনাম: ‘চীন ও পেরুর বন্ধুত্বপূর্ণ নৌকার পাল তুলে যাত্রা’। বর্তমানে ৩১তম এপেক শীর্ষনেতাদের সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য পেরুর রাজধানী লিমায় অবস্থান করছেন সি চিন পিং।
নিবন্ধে সি চিন পিং বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট হিসেবে এটি তাঁর দ্বিতীয় পেরু সফর। প্রতিবারের সফরে তিনি পেরুর জনগণের সাথে চীনা জনগণের গভীর মৈত্রী অনুভব করেন। এ মৈত্রীর সাথে প্রাচীন সভ্যতার বুদ্ধি, সুদীর্ঘকালের ইতিহাস, ও পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
তিনি লেখেন, বিভিন্ন ল্যাটিন আমেরিকান দেশের মধ্যে, নয়াচীনের সাথে সর্বপ্রথমে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল পেরু। ২০১৩ সালে চীন-পেরু সার্বিক কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সেই থেকে দু’দেশের সম্পর্ক দিন দিন গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে এবং দ্বিপক্ষীয় বাস্তব সহযোগিতায় ব্যাপক সাফল্যও অর্জিত হয়েছে।
সি বলেন, দ্বিপাক্ষিক ঐতিহ্যিক মৈত্রী সম্প্রসারণ করে, বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা গভীরতর করা হবে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম জাতীয় কংগ্রেসের তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সার্বিক ও গভীর সংস্কার করা এবং চীনা বৈশিষ্ট্যময় আধুনিকায়ন বাস্তবায়নে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে, যা পেরুসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উন্নয়নের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করবে।
নিবন্ধে সি জোর দিয়ে বলেন, বর্তমানে বিশ্বের পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং মানবজাতি ঐতিহাসিক ক্রান্তিলগ্নে প্রবেশ করেছে। এ প্রেক্ষাপটে চীন, পেরুর সাথে সমান ও সুশৃঙ্খল বৈশ্বিক বহুমুখীতা এবং সহনশীল অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন বাস্তবায়নে চেষ্টা করবে, যাতে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠন করা যায়।
এদিকে, সফরকালে পেরুর প্রেসিডেন্ট বোরুয়ার্টের সাথে ভিডিও-লিঙ্কের মাধ্যমে, ছানকেই বন্দরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন সি। এটি দক্ষিণ আমেরিকায় প্রথম বুদ্ধিমান বন্দর, যা পেরু ও ল্যাটিন আমেরিকার উন্নয়নে ইতিবাচক ভুমিকা পালন করবে এবং আরও সার্বিক, বহুমুখী ও কার্যকর পারস্পরিক যোগাযোগ কাঠামো গঠন করবে। (সুবর্ণা/আলিম/প্রেমা)