১৩ নভেম্বর: এপেক শীর্ষ সম্মেলন শুরু হতে যাচ্ছে। চলতি বছর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা বা এপেক প্রতিষ্ঠার ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে চায়না মিডিয়া গ্রুপের সিজিটিএন সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে ৮৬.৪% উত্তরদাতারা আঞ্চলিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় এপেকের অসামান্য সাফল্যের জন্য সংস্থাটির প্রশংসা করেছেন। তারা মনে করেন তা এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের উদারীকরণ এবং সুবিধার স্তরকে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে শক্তিশালী কার্যকারিতা উন্নত করেছে এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলকে সর্বাধিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার সাথে সবচেয়ে সক্রিয় ভূ-অর্থনৈতিক খাতে পরিণত করেছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ‘লোকোমোটিভ’ হিসাবে, এপেক অর্থনীতির তুলনামূলকভাবে উচ্চ অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার প্রধানত অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক বাণিজ্য দ্বারা চালিত হয়। সমীক্ষায়, ৮৫.২% উত্তরদাতারা বিশ্বাস করেন যে, দেশগুলোকে বহুপাক্ষিকতা এবং অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের সাধারণ নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং একটি উন্মুক্ত অর্থনীতি ও আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ৮৯.৫% উত্তরদাতারা মনে করেন বিভিন্ন দেশের উচিত সংরক্ষণবাদ বিরোধিতা করা, উন্মুক্ততা মেনে চলা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক মুক্ত বাণিজ্য এলাকার নির্মাণকে উন্মুক্ত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাবের মাধ্যমে উন্নীত করা।
লিমা সম্মেলনের থিম হচ্ছে ‘ক্ষমতায়ন, অন্তর্ভুক্তি, বৃদ্ধি’। সব পক্ষই আশা করে যে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল তাদের সহযোগিতার মূল অভিপ্রায় বজায় রাখবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করবে। সমীক্ষায়, উত্তরদাতাদের ৯৩.৭% এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সকল পক্ষকে ঐক্যমত্য গড়ে তোলার এবং একটি উন্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক, উদ্ভাবনী এবং বৃদ্ধি-ভিত্তিক, আন্তঃসংযুক্ত ও বিজয়ী হওয়ার অভিন্ন কল্যাণের এশিয়া-প্যাসিফিক কমিউনিটি গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে। ৯৯.৫% উত্তরদাতারা উন্নত অর্থনীতিকে ‘গ্লোবাল সাউথ’ দেশগুলোকে আরও সহায়তা প্রদান করার আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তরদাতাদের ৯০.১% বিশ্বাস করেন যে, একটি নতুন দফা প্রযুক্তিগত বিপ্লব ও শিল্প পরিবর্তনের মুখে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর উচিত উন্নয়য় ধারণা উদ্ভাবন করা, সবুজ উন্নয়ন মেনে চলা এবং প্রবৃদ্ধির শক্তি অন্বেষণ করতে উদ্ভাবনকে ব্যবহার করা।
জরিপটি সিজিটিএন-এর ইংরেজি, স্প্যানিশ, ফরাসি, আরবি এবং রাশিয়ান প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করা হয়েছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৬ হাজার ৭১ জন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ভোটদানে অংশগ্রহণ করেছে এবং তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।(স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)