বেশিরভাগ শরণার্থী জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে বাস করে: জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা
2024-11-13 20:08:39

১৩ নভেম্বর: জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা গতকাল মঙ্গলবার তাদের প্রথম জলবায়ু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিশ্বের ১২০ মিলিয়ন জোরপূর্বক শরণার্থীর মধ্যে, প্রায় ৯০ মিলিয়ন বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে বাস করে এবং তাদের অর্ধেক সংঘাত ও গুরুতর জলবায়ু বিপর্যয় প্রভাবিত জায়গায় বাস করে।

‘নো এস্কেপ: অন দ্য ফ্রন্টলাইন অব ক্লাইমেট, কনফ্লিক্ট অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’ প্রতিবেদনটি জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের ২৯তম কনফারেন্স অফ দ্য পার্টিস (কপ ২৯) চলাকালীন প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যুদ্ধ, সহিংসতা এবং নিপীড়ন থেকে পালাতে বাধ্য হওয়া লোকেরা ক্রমবর্ধমানভাবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু সংকটের প্রথম সারিতে নিজেদের খুঁজে পাচ্ছে, মারাত্মক হুমকির মুখোমুখি হচ্ছে কিন্তু সংকটের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য তহবিল ও সহায়তা নেই। প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে, ২০৪০ সালের মধ্যে, চরম জলবায়ু বিপর্যয়ের সম্মুখীন দেশের সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে ৬৫-তে উন্নীত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যেখানে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ শরণার্থী রয়েছে।

কপ-২৯ সম্মেলনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জলবায়ু অর্থায়ন বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানায় যাতে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাদের কাছে পৌঁছানো যায়। প্রতিবেদনটি জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, জলবায়ু অর্থায়ন ভঙ্গুর ও যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতে উদ্বাস্তু গ্রহণ, আবাসিক এলাকা এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে, তাই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার ক্ষমতা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। বর্তমানে, অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো জলবায়ু অভিযোজন তহবিলে প্রতি বছর প্রতি জনপ্রতি প্রায় ২ মার্কিন ডলার পায়, যা অ-সুরক্ষিত দেশগুলোতে প্রতি বছর জনপ্রতি ১৬১ মার্কিন ডলারের তুলনায় একটি বিস্ময়কর ব্যবধান। (স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)