নভেম্বর ১২: ‘জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কাঠামো কনভেশনের’ ২৯তম সম্মেলনে (সিওপি-২৯) চায়না কর্নার গতকাল (সোমবার) আজারবাইজানের বাকু অলিম্পিক স্টেডিয়ামে উদ্বোধন করা হয়েছে। এবারের চায়না কর্নারের প্রতিপাদ্য হল ‘বাস্তুতান্ত্রিক সভ্যতা ও সুন্দর চীনের অনুশীলন’।
সিওপি-২৯ চীনা প্রতিনিধি দলের প্রধান, চীনা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ উপমন্ত্রী চাও ইং মিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, চীনা কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি) ১৮তম জাতীয় কংগ্রেসের পর থেকে, সি চিন পিংয়ের বাস্তুতান্ত্রিক সভ্যতার ধারণার নির্দেশনায় চীন সরকার বাস্তুতান্ত্রিক সভ্যতা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে অভূতপূর্ব উচ্চপর্যায়ে রেখেছে, কার্বন নিঃসরণ কামাতে, দূষণ কমাতে ও সবুজায়ন প্রসারণ করতে সমন্বয় করেছে, সবুজ উন্নয়ন অলৌকিক ঘটনা তৈরি করেছে।
চীন সক্রিয়ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জাতীয় কৌশল বাস্তবায়ন করেছে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের সবুজ রূপান্তর প্রচার করেছে, দূষণ কমাতে পরিবেশ উন্নত করেছে, পর্বত, নদী, বন, জমি, হ্রদ, তৃণভূমি, মরুভূমির ব্যবস্থাপনা সমন্বয় করে বাস্তুতন্ত্রের গুণমান স্থিতিশীলভাবে উন্নত করেছে, এবং ন্যায়সঙ্গত, সহযোগিতামূলক ও জয়-জয় বিশ্ব জলবায়ু পরিচালনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, জটিল ও পরিবর্তনশীল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির সামনে চীন অব্যাহতভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার জাতীয় কৌশল বাস্তবায়ন করবে, সক্রিয়ভাবে ও গঠনমূলকভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার বহুপাক্ষিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা জোরদার করবে, বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য ‘খুনমিং-মন্ট্রিয়েল ফ্রেমওয়ার্কের’ সার্বিক ও কার্যকর বাস্তবায়ন প্রচার করবে।
চীনের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক বিশেষ দূত লি চেন মিন বলেন, চীন সবসময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কাজে উচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং তাকে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কৌশল হিসেবে বিবেচনা করে। সবুজ ও নিম্ন-কার্বন উন্নয়নে চীনের সংকল্প দৃঢ়, ফলাফল বেশি এবং ব্যাপক প্রশংসিত। চীন আন্তর্জাতিক সমাজের সঙ্গে বহুপক্ষবাদ রক্ষা করবে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ন্যায্যতা বজায় রাখবে, সিওপি-২৯’র সাফল্যের জন্য চেষ্টা করবে এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিচালনায় শক্তিশালী স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা যোগাবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে চরম জলবায়ু ঘটনা বিশ্বজুড়ে ঘন ঘন ঘটছে, জলবায়ু পরিবর্তন একটি সম্ভাব্য হুমকি থেকে বাস্তব সংকটে পরিণত হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে তিনি আশা করেন সিওপি-২৯ বিশ্বকে আরও বেশি বিশ্বাস ও আশা দেবে, অভিন্ন কিন্তু আলাদা দায়িত্বের নীতি মেনে চলে সত্যিই চুক্তি বাস্তবায়ন করবে।
সিওপি-২৯’র চায়না কর্নারের কার্যক্রম ১১ থেকে ২২ নভেম্বর আজারবাইজানের বাকুতে অব্যাহত থাকবে। সম্মেলন চলাকালে চীনা সরকারী সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠা, শিল্প সমিতি, কোম্পানি ও বেসরকারি সংস্থা ইত্যাদি সংস্থা পরিবেশগত সভ্যতা ও সুন্দর চীনের অনুশীলন, চীনের জ্বালানি রূপান্তর ও নতুন জ্বালানি উন্নয়ন, চীনের কার্বন বাজার উদ্ভাবন ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে নানা রকমের কার্যক্রম আয়োজন করা হবে।
(তুহিনা/হাশিম/স্বর্ণা)