নভেম্বর ১২: চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, দেশের প্রেসিডেন্ট এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান সি চিন পিং আজ (মঙ্গলবার) সান ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকীতে অভিনন্দন বাণী পাঠিয়েছেন এবং সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সি চিন পিং তাঁর অভিনন্দন পত্রে বলেন, নতুন সূচনা বিন্দুতে আশা করা হচ্ছে যে, সান ইয়াত-সেন ইউনিভার্সিটি নতুন যুগে চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের চিন্তাধারার নির্দেশনা মেনে চলে পার্টি ও দেশের জন্য প্রতিভা লালনে অবিচল থাকবে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কৌশল এবং কুয়াংতো-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে, একটি সমন্বিত পদ্ধতিতে শিক্ষাগত সংস্কার ও উন্নয়ন, বিজ্ঞানসম্মত ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং প্রতিভা প্রশিক্ষণ প্রচার করবে। চীনা বৈশিষ্ট্যময় একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণকে দ্রুততর করবে এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং চীনা-শৈলী আধুনিকীকরণের প্রচারে আরো বেশি এবং নতুন অবদান রাখবে।
সান ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য আজ (মঙ্গলবার) সকালে একটি সম্মেলন কুয়াংচৌ শহরে অনুষ্ঠিত হয়। সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য এবং কুয়াংতোং প্রাদেশিক কমিটির সেক্রেটারি হুয়াং খুন মিং সম্মেলনে সি চিন পিংয়ের অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন এবং বক্তৃতা দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সান ইয়াত-সেন ইউনিভার্সিটি সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের কথা মনে রাখবে, শতবার্ষিকীকে একটি নতুন সূচনা পয়েন্ট হিসাবে গ্রহণ করবে, চীনা বৈশিষ্ট্যময় একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে, পার্টি ও দেশের জন্য প্রতিভা লালন করবে, বিজ্ঞান ও শিক্ষায় সহযোগিতামূলক উদ্ভাবনের প্রচারে আরো বেশি অবদান রাখবে। কুয়াংতোং সাধারণ সম্পাদক সি চিন পিংয়ের অভিনন্দন পত্রের চেতনাকে দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়ন করবে এবং বৃহত্তর সাফল্য অর্জন করা ও নতুন অবদান রাখার জন্য সান ইয়াত-সেন বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ সমর্থন করবে।
১৯২৪ সালে সান ইয়াত-সেন খোদ বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্কুলটি ৮ লাখেরও বেশি নানা ধরনের প্রতিভাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং জাতীয় কৌশলগুলো প্রচার করা, কুয়াংতোং-হংকং-ম্যাকাও বৃহত্তর উপসাগরীয় অঞ্চল নির্মাণ করা এবং শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক আদান-প্রদানকে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রেখেছে।
(লিলি/হাশিম/তুহিনা)