নভেম্বর ১০: চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং গতকাল (শনিবার) বেইজিংয়ে মহাগণভবনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর সাথে বৈঠক করেছেন।
বৈঠককালে লি ছিয়াং বলেন, উভয়পক্ষের যৌথ প্রচেষ্টায় চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক ক্রমাগত উন্নতি লাভ করেছে এবং অভিন্ন কল্যাণের সমাজ যৌথ নির্মাণের নতুন সময়পর্বে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা দিন দিন গভীরতর হচ্ছে। চীন-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্কের উন্নয়নের একটি নতুন রূপরেখা আঁকতে প্রেসিডেন্ট প্রাবোও’র সাথে আজ বিকেলে বৈঠক করেছেন প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। চীন সবসময় ইন্দোনেশিয়ার ভাল প্রতিবেশী এবং ভাল অংশীদার হতে ইচ্ছুক, দুই প্রেসিডেন্টের গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য বাস্তবায়নের জন্য ইন্দোনেশিয়ার সাথে কাজ করতে, ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে এগিয়ে যেতে, রাজনৈতিক পারস্পরিক বিশ্বাসকে গভীর করতে, বাস্তব সহযোগিতার প্রসারিত করতে, দুই দেশের হাতে হাত রেখে আধুনিকায়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শক্ত সমর্থন প্রদান করতে এবং এই অঞ্চল এমনকি বিশ্বের উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতায় আরও বেশি অবদান রাখতে ইচ্ছুক চীন।
লি ছিয়াং বলেন, চীন ইন্দোনেশিয়ার সাথে উচ্চ-স্তরের সুষ্ঠু আদান-প্রদানের গতি বজায় রাখতে ইচ্ছুক এবং একে অপরের মূল স্বার্থ ও প্রধান উদ্বেগের বিষয়গুলোতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যাবে। উভয়পক্ষের উচিত উন্নয়ন কৌশলগুলোর ডকিংকে শক্তিশালী করা, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’-এর উচ্চ-মানের যৌথ নির্মাণকে নির্দেশিকা হিসাবে গ্রহণ করা, জাকার্তা-বান্দুং উচ্চ-গতির রেলপথের টেকসই অপারেশন নিশ্চিত করা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও প্রসারিত করা। প্রাবোও বলেন, ইন্দোনেশিয়া অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য নিরসনে চীনের মহান সাফল্যের প্রশংসা করে এবং দেশ শাসনের ক্ষেত্রে চীনের অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে ইচ্ছুক। ইন্দোনেশিয়া দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি মেনে চলে। ইন্দোনেশিয়ার মতে, সিনচিয়াং সম্পর্কিত বিষয়গুলো চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য চীনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। ইন্দোনেশিয়া আগামী বছর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকীকে কাজে লাগিয়ে চীনের সাথে সকল স্তরে আদান-প্রদান জোরদার করতে, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, বিজ্ঞান, মত্স্য, অবকাঠামোর নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা প্রসারিত করতে ইচ্ছুক। ইন্দোনেশিয়া আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষা, গ্লোবাল সাউথের উন্নয়নের প্রচার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ও অবদানের প্রশংসা করে এবং আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে চীনের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় জোরদার করার জন্য উন্মুখ।
(লিলি/হাশিম/তুহিনা)