নভেম্বর ২: যে-কোনো নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা যেন তৃতীয় কোনো পক্ষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে না-দাঁড়ায়—তা নিশ্চিত করা জরুরি। ইইউ-জাপান প্রতিরক্ষা-সহযোগিতার পরিকল্পনা সম্পর্কে, গতকাল (শুক্রবার) বেইজিংয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে, এ মন্তব্য করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন চিয়ান।
তিনি বলেন, যে-কোনো দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক হওয়া উচিত।
লিন চিয়ান বলেন, ঐতিহাসিক কারণে, জাপানের সামরিক ও নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট তত্পরতার ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে তার এশীয় প্রতিবেশী দেশগুলো মনোযোগ দিয়ে থাকে। জাপান ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা থেকে শিখে, শান্তি ও উন্নয়নের পথ বেছে নেবে, এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট আবেগকে সম্মান করবে, এবং সামরিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সতর্কভাবে কাজ করবে বলে আশা করা হয়।
মুখপাত্র আরও বলেন, ইইউ-র উচিত এতদঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক ও সমুদ্র অধিকার এবং স্বার্থ নিয়ে বিদ্যমান বিতর্কে হস্তক্ষেপ না-করা এবং আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখার চেষ্টা করা।
উল্লেখ্য, ইইউ-র পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিসংশ্লিষ্ট সিনিয়র প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল জাপান সফর করবেন এবং দেশটির সাথে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বের চুক্তি স্বাক্ষর করবেন বলে জানা গেছে। (অনুপমা/আলিম/ছাই)