চীনের শেনচৌ-১৯ মানববাহী নভোযানের মহাকাশ-যাত্রা ৩০ অক্টোবর
2024-10-29 10:49:20

অক্টোবর ২৯: চীনের কানসু প্রদেশের চিউছুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে শেনচৌ-১৯ মানববাহী নভোযানের মহাকাশ যাত্রা নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সকালে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  চীনের মানববাহী প্রকল্পের মুখপাত্র লিন সি ছিয়াং বলেছেন, ৩০ অক্টোবর ভোর ৪টা ২৭ মিনিটে শেনচৌ-১৯ মানববাহী নভোযান উৎক্ষেপণ করা হবে। নভোচারী ছাই স্যু জ্য,সং লিং তোং এবং ওয়াং হাও চ্য এবার যাত্রায় অংশ নেবেন।

জানা গেছে, ছাই স্যু জ্য শেনচৌ ১৪ নভোযানের যাত্রায় অংশ নিয়েছেন এবং সং লিং তোং ও ওয়াং হাও চ্য চীনের তৃতীয় দলের নভোচারী, তাঁরা প্রথমবারের মতো মহাকাশে যাত্রা করবেন। সং লিং তোং বিমান বাহিনীর একজন বৈমানিক ছিলেন এবং ওয়াং হাও চ্য মহাশূন্য বিজ্ঞান প্রযুক্তি গ্রুপ লিমিডেট কোম্পানির একজন মহাকাশযান প্রকৌশলী, যিনি চীনের একমাত্র নারী মহাকাশযান প্রকৌশলী এবং শেনচৌ নভোযানের যাত্রায় তৃতীয় নারী নভোচারী।

বর্তমানে সংশ্লিষ্ট প্রস্তুতি কাজ ধাপে ধাপে চলছে। এটি মহাশূন্য স্টেশনের প্রয়োগে চতুর্থবারের মানববাহী কার্যক্রম এবং চীনের মানববাহী নভোযানের ৩৩তম যাত্রা। তাঁদের মূল কাজ শেনচৌ ১৮ নভোযানের ক্রুদের সাথে দায়িত্ব বিনিময় করা, মহাশূন্য স্টেশনে প্রায় ৬ মাস থাকা এবং বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, নভোযান থেকে বের হয়ে মালপরিবহন ক্যাবিনেটে যাওয়া-আসা, মহাশূন্য স্টেশনের ধ্বংসাবশেষ সুরক্ষা ডিভাইস স্থাপন করা এবং বিজ্ঞান প্রযুক্তির শিক্ষা ক্লাস চালু করা ইত্যাদি।

পরিকল্পনা অনুসারে শেনচৌ ১৯ নভোচারীরা থিয়ানচৌ ৮ মালবাহী নভোযান এবং শেনচৌ ২০ নভোচারীদের সফরের অপেক্ষা করবেন। আগামি বছরের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে বা মে মাসের শুরুতে তারা পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

(সুবর্ণা/হাশিম/রুবি)