লু ছিয়াওইন
2024-10-25 10:49:35

লু ছিয়াওইন বা ক্যান্ডি লো ১৯৭৪ সালের ১৮ অক্টোবর চীনের হংকং বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হংকংয়ের একজন গায়িকা এবং অভিনেত্রী। চীনের কুয়াংতোং প্রদেশের চৌংশান শহর তাঁর পূর্বপুরুষদের জন্মস্থান।

 

বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদের তাঁর প্রথম অ্যালবামের একটি জনপ্রিয় গান শোনাতে চাই। গানের নাম ‘আমাকে যেতে দাও, প্লিজ’। এটি সংগীতজ্ঞ ওয়াং লিহোমের সঙ্গে গাওয়া তার একটি দ্বৈত গান। 

১৯৯৪ সালে ক্যান্ডি ‘ব্ল্যাক এন্ড ব্লু’ ব্যান্ডটিতে যোগ দিয়ে প্রধান গায়িকা হিসেবে শোবিজে প্রবেশ করেন। পরে তিনি ব্যান্ডের সাথে প্রথম অ্যালবাম ‘হোপ ইন জাস্ট ওয়ান ডে’ প্রকাশ করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ব্যান্ড ত্যাগ করে, সনি মিউজিকে যোগ দেন। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রথম একক অ্যালবাম ‘অপ্রয়োজনীয়... ভয়ঙ্করভাবে নিখুঁত’ প্রকাশ করেন। এর মধ্যে রাখা ‘আবর্জনা’ গানটির কারণে তিনি জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। 

 

১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর ক্যান্ডি ‘মিয়াও’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এতে মোট দশটি গান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অ্যালবামের প্রতিপাদ্য হলো ‘বিড়াল’। বিড়ালের দিক থেকে মানবজাতির জীবন বর্ণনা করা হয়েছে এতে। এর মধ্যে ছ’টি গানের সুর ক্যান্ডির নিজের সৃষ্টি। তাহলে বন্ধুরা, এখন আমি অ্যালবাম থেকে একটি গান বেছে আপনাদের শোনাচ্ছি, কেমন? গানের নাম ‘স্মারকগ্রন্থ’। 

১৯৯৮ সালে ক্যান্ডি ‘ক্যান্ডির কাছাকাছি’ নামে অ্যালবাম প্রকাশ করেন। এতে দু’টো ম্যান্ডারিন গান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অ্যালবামটিতে তাঁর বৈশিষ্ট্যময় সংগীত চেতনা বজায় রাখা হয়। আচ্ছা বন্ধুরা, তাহলে এখন আমি অ্যালবাম থেকে দু’টো গান বেছে আপনাদের শোনাব, কেমন? গানের নাম ‘বৃষ্টির গান শোনা’ এবং ‘আমি রান্নাঘর ভালোবাসি’। 

 

২০০০ সালের এপ্রিল ক্যান্ডি ‘রঙ পরিবর্ধন’ প্রকাশ করেন। তিনি সংগীত তৈরীতে অংশ নেওয়া ছাড়াও অ্যালবামের শিল্প পরিচালক হন।  অ্যালবামে রাখা ‘গাঢ় নীল’ দিয়ে তিনি হংকং বেতারের টপ টেন চায়নিজ গোল্ড সংস অ্যাওয়াডে সেরা চীনা (পপ) লিরিক্স পুরষ্কার জেতেন। আচ্ছা বন্ধুরা, এখন গান শোনার সময়। আমি ক্যান্ডির ‘বছরের চার ঋতু’ নামে গানটি আপনাদের শোনাচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে শোনাব তাঁর ‘প্রেমে পড়তে পছন্দ করি’ নামে গানটি। 

 

(প্রেমা/হাশিম)