পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যাটেলাইটের পেলোড হস্তান্তর চীনে
2024-10-25 15:44:12

অক্টোবর ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: গত ২৭ সেপ্টেম্বর চীনের ইনার মঙ্গোলিয়া স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের চিউছুয়ান স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে পাঠানো হয়েছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী স্যাটেলাইট শিচিন-১৯। ১১ অক্টোবর চীনের প্রথম পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যাটেলাইট হিসেবে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসে ওটা। বৃহস্পতিবার ওই স্যাটেলাইটে করে কক্ষপথ ঘুরে আসা বিভিন্ন নমুনা (পেলোড) হস্তান্তর করা হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার হাতে।

চীনের জাতীয় মহাকাশ প্রশাসন তাদের বেইজিং সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে, সিএনএসএ হাইনান এবং আনহুই প্রদেশের কর্তৃপক্ষ এবং কৃষি ও গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ সরকারি বিভাগ ও কর্মকর্তাদের কাছে পেলোডগুলো বিতরণ করে। থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানসহ কিছু বিদেশি কর্মকর্তার কাছেও তাদের যার যার নমুনা হস্তান্তর করা হয়।

 

কক্ষপথে নানা ধরনের জৈবিক ও যান্ত্রিক পেলোড নিয়ে শিচিয়ান ১৯ স্যাটেলাইটটি সাড়ে ১৩ দিন কক্ষপথে ছিল। এর আগে উৎক্ষেপণ করা ৩০টি পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যাটেলাইটের মধ্যে এটিই সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসে।

একটি লং মার্চ ২ডি ক্যারিয়ার রকেটে করে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শিচিয়ান ১৯। বীজ, অণুজীব, প্রযুক্তি যন্ত্র এবং আরও কিছু নমুনাসহ স্যাটেলাইটটিতে মোট ২০ ধরনের পেলোড গিয়েছিল।

চীনের মহাকাশ প্রশাসনের উপ-প্রধান বিয়ান চিকাং অনুষ্ঠানে বলেন, শিচিয়ান ১৯-এ প্রায় এক হাজার প্রজাতির জার্মপ্লাজমের প্রজনন পরীক্ষা চালানো হয়।

চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলিজ করপোরেশনের জ্যেষ্ঠ গবেষক চাও হুইকুয়াং জানান, স্যাটেলাইটটি ফিরে আসার সময় যাতে বায়ুমণ্ডলের চরম তাপ সহ্য করতে পারে, সেজন্য চীনা গবেষকদের বানাতে হয়েছিল নতুন কিছু সুরক্ষা সরঞ্জাম।

চাও আরও জানান, কক্ষপথে থাকা অবস্থায় স্যাটেলাইটটির ভেতর যে মাইক্রোগ্রাভিটি ছিল তা এ ধরনের জৈবিক পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ প্রদান করে। এ ছাড়া, একটি পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যাটেলাইট বিজ্ঞানীদের কাছে পরীক্ষার নমুনা দ্রুত ফিরিয়ে আনার সুযোগ দেয় বলেও জানান তিনি।

চাও বলেন, প্রকৌশলীরা শিগগিরই স্যাটেলাইটটির যাবতীয় অবস্থা পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে আরও কিছু সরঞ্জাম প্রতিস্থাপন করবেন।

তিনি বলেন, শিচিয়ান-১৯ স্যাটেলাইটটি কমপক্ষে ১০ বার ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করা। প্রতিটি ফ্লাইটের জন্য প্রস্তুত হতে এটির ছয় মাস সময় লাগতে পারে।

 

ফয়সল/শান্তা

 

তথ্য ও ছবি: চায়না ডেইলি