অক্টোবর ২৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সহস্রাধিক প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওর বিকাশ ঘটেছে চীনে, যাতে উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া আরও উদ্দীপিত করা যায় এবং বৈশ্বিক গবেষণা ও উন্নয়নে প্রভাব জোরদার করা যায়। বুধবার চীনের বেসামরিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা চাং লিন বলেছেন এ কথা।
এনজিও প্রশাসনের মন্ত্রণালয়ের ব্যুরোর উপপ্রধান চাং লিন বলেছেন, গত বছরের শেষ নাগাদ, চীনে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে ২৪ হাজারেরও বেশি এনজিও, যারা প্রতিযোগিতামূলক প্রযুক্তিতে চীনের দক্ষতা এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
বিশ্বব্যাপী প্রভাব বাড়ানোর জন্য ২০২১ সালে এই সংস্থাগুলোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রখ্যাত বিদেশি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ ও তাদের পরিচালক পদে নিয়োগের অনুমতিও দিয়েছিল বলে জানান চাং।
উল্লেখ্য, চীনের ২০০টিরও বেশি জাতীয় পর্যায়ের প্রযুক্তি-কেন্দ্রিক সংস্থাগুলোর মধ্যে একটি হলো চাইনিজ ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রনিক্স। চীনে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অগ্রগতিতে যা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
এ সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, এটি আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন, গবেষণাপত্র প্রকাশ এবং সরকারি সংস্থাগুলোতে প্রতিভাবানদের সুপারিশ করাসহ আরও নানা কাজ করছে।
সেমিকন্ডাক্টর, কম্পিউটার সায়েন্স, যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং রাডারের মতো বিষয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার পেশাদারদের শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম এটি। ইনস্টিটিউটটি তার সদস্যদের নিজ নিজ ক্ষেত্রের ওপর ১০টি একাডেমিক জার্নালের সম্পাদনা ও প্রকাশনাও পরিচালনা করছে।
গত বছর, চীন সরকার এমন আরও ১৭টি এনজিও প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে।
এর মধ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড অঞ্চলের জন্য জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান সংস্থাগুলোর একটি উল্লেখযোগ্য সংস্থা চালু হয় ২০১৮ সালে। এর সদস্যপদে চায়না একাডেমি অব সায়েন্সেস, তুর্কিয়ের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত গবেষণা কাউন্সিল এবং সার্বিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস অ্যান্ড আর্টসের মতো মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোও আছে।
ফয়সল/শান্তা
তথ্য ও ছবি: চায়না ডেইলি