ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে ওয়াং ই’র বৈঠক
2024-10-19 17:26:27

অক্টোবর ১৯: চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বা সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই গতকাল (শুক্রবার) বেইজিংয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র ও উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠককালে ওয়াং ই বলেন, চীন ও ব্রিটেনের উচিত জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার রক্ষক, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহযোগী এবং জাতীয় উন্নয়ন অর্জনে অংশীদার হওয়া। চীন ব্রিটেনের সাথে দুই দেশের নেতাদের ঐকমত্য অনুযায়ি পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সম্মান করা, উন্মুক্ত সহযোগিতাকে প্রধান সুর হিসাবে মেনে চলা, কৌশলগত যোগাযোগকে গভীর করা, বাস্তবসম্মত সহযোগিতার প্রচার এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের একটি নতুন পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে কাজ করতে ইচ্ছুক। তাই‌ওয়ান ও হংকং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ না করা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একটি মৌলিক নিয়ম। চীন বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের সংলাপ ও সহযোগিতা প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয় এবং বাণিজ্য, অর্থ, সবুজ উন্নয়ন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং মানবিক বিষয়ে পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতা চালাতে সম্মতও হয়। আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার এবং উন্মুক্ত উন্নয়ন কার্যকরভাবে উন্নীত করার জন্য চীন ব্রিটেনসহ সকল দেশের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।

ল্যামি বলেন, ব্রিটিশ সরকার সামঞ্জস্যপূর্ণ, পারস্পরিক শ্রদ্ধাশীল এবং উভয়পক্ষের দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ উপায়ে চীনের সাথে সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার করতে এবং কার্যকরভাবে মতপার্থক্য নিরসন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্রিটিশ পক্ষ তাইওয়ান ইস্যুতে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকে নিজের প্রতিশ্রুতি মেনে চলেছে এবং আগামীতেও তা মেনে চলবে। ব্রিটেন এবং চীনের ব্যাপক সাধারণ স্বার্থ রয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে কোন ‘আয়রন কার্টেন’ থাকা উচিত নয়। ব্রিটেন, চীনের সাথে মতবিনিময় ও আলোচনা জোরদার করা, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি, পরিবেশ সুরক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা এবং ব্রিটেন ও চীনের অংশীদারিত্বের সম্পর্কের শক্তিশালী উন্নয়নের একটি নতুনযাত্রা শুরু করার জন্য উন্মুখ। ব্রিটেন ও চীনের উচিত যৌথভাবে মুক্ত বাণিজ্য রক্ষা করা এবং কূটনৈতিক উপায়ে ভূ-রাজনৈতিক সংকট ও জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া।

উভয়পক্ষ ইউক্রেন সংকট, ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত এবং মিয়ানমারের পরিস্থিতিসহ নানা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক হটস্পট ইস্যুতে মতবিনিময় করেছে।

(লিলি/হাশিম/তুহিনা)