চীনে আসার কারণ জানালেন ক্যান্টন মেলায় অংশগ্রহণকারী বিদেশি ব্যবসায়ী
2024-10-18 20:35:29

অক্টোবর ১৮: ১৩৬তম চীন আমদানি রপ্তানি মেলা বা ক্যান্টন ফেয়ার ১৫ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত কুয়াংচৌয়ে তিন পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মেলায় এক লাখ ৪৭ হাজার বিদেশি ক্রেতা ব্যবসায়ী নিবন্ধন করেছেন।


শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়ী ইশান রত্নায়েকে তাঁদের মধ্যে একজন। তিনি কেন এ মেলায় অংশগ্রহণ করতে চান? এবারের মেলায় কোন কোন বিষয়ে তিনি নজর রাখছেন? সম্প্রতি তিনি কলম্বোয় সিএমজিকে একটি সাক্ষাৎকারে এসব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।


তিনি বলেন, ‘আমি ১৭ অক্টোবর কুয়াংচৌয়ে পৌঁছাতে চাই। প্রথম দুই-তিন দিনে আমি মেলাটির প্রথম পর্যায়ে অংশ নেব। এতে আমি নতুন স্মার্ট হোম বিষয়ক পণ্যগুলো কিনতে চাই। মেলাটির দ্বিতীয় পর্যায় ২৩ তারিখ শুরু হবে। এর আগের ৪দিনে, আমার চীনা বন্ধুর সঙ্গে চীনের কিছু কারখানা ও লজিস্টিক্স সরবরাহ কোম্পানিতে যাবো। এরপর ২৩ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত, আমি মেলাটির দ্বিতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করব। এতে গৃহসজ্জা বিষয়ক নির্মাণ উপকরণ আমি দেখবো।’


এবার তিনি ৮ দিন চীন সফর করতে চান। তিনি কোনো দিন নষ্ট করতে চান না।


তিনি বলেন,  ‘আমি আরও বেশি সরবরাহকারীর সঙ্গে দেখা করতে চাই, এবং চীনা বাজারের নতুন পণ্য সম্পর্কে জানতে চাই।’


গত বছরের নভেম্বরে তিনি কুয়াং চৌতে একটি মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন। সেবার ছিল তার প্রথম চীন সফর। তাতে তিনি প্রথমবার চীনা পণ্য ও চীনের সম্পূর্ণ শিল্প চেইনের অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। প্রথমবার নিজের চোখে তিনি চীনা উৎপাদনকারীদের উদ্ভাবনী প্রাণশক্তি দেখেছেন। 


তিনি বলেন,‘আমি অনেক দেশে গিয়েছি। তারপরও, চীন আমাকে অনেক বিস্মিত করেছে। আমি অনেক কিছু শিখেছি। যেমন, শ্রীলঙ্কায় এক ধরনের বিস্কুট বাজারে ৬ বছর বিক্রি করার পর কোনো পরিবর্তন করতে হয় নি। তবে, চীনের বাজারে ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে কিছু পরিবর্তন করতে হয়। কারণ উৎপাদনকারী গ্রাহকদেরকে নতুন অভিজ্ঞতা দিতে চায়।’ 


গতবার তিনি চীনে এসেছিলেন এক ধরনের অ্যারোমাথেরাপি যন্ত্র খুঁজতে। তিনি বলেছেন, চীনে তিনি সরাসরি উৎপাদনকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং তিনি সহজেই একটি উপযুক্ত যন্ত্র পেয়েছেন। 


তিনি বলেন, ‘চীনের এ যন্ত্র আল্ট্রাসনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। সাধারণ যন্ত্রের চেয়ে তার সক্ষমতা বেশি। আমি মোট ৫ শতাধিক এ যন্ত্র কিনেছি। এখন মাত্র ৮টি বাকি রয়েছে, বাকি সব বিক্রি হয়েছে।’


তিনি বিভিন্ন খাতে ব্যবসা করছেন। যে কোনো খাত হোক-না-কেন, তিনি চীনে সরবরাহকারী খুঁজে পান। 


তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে আমি চীনা সরবরাহকারীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। কারণ, আমি আমার ব্যবসায়কে উচ্চ পর্যায়ে নিতে চাই। চীনের অনেক নতুন পণ্য আমি শ্রীলঙ্কার বাজারে নিয়ে যেতে পারব।’


(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)