অক্টোবর ১৮: ৭৯তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের তৃতীয় কমিটি গত ১৬ অক্টোবর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সাথে একটি ইন্টারেক্টিভ সংলাপ করেছে। জাতিসংঘে চীনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তাই পিং তার বক্তৃতায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা তাদের বক্তৃতায় মিথ্যাচার করেছেন এবং রাজনৈতিক সংঘাতের উসকানি দিয়েছেন। চীন তার দৃঢ় বিরোধিতা করে।
তাই পিং বলেন, বর্তমান বিশ্বে বিশৃঙ্খলা ও পরিবর্তন মিশ্রিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার জটিল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। সব পক্ষের উচিত প্রকৃত বহুপাক্ষবাদ চর্চা করা, মানবাধিকার রক্ষা করা, মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নত করা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে মানবাধিকার খাত এগিয়ে নেওয়া। যাতে যৌথভাবে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সুস্থ বিকাশ এগিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি, কিছু দেশের মানবাধিকার নিয়ে রাজনীতি করা এবং মানবাধিকার ইস্যুগুলো ব্যবহার করে বৈরিতা সৃষ্টির বিরোধিতা করা উচিত।
তাই পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন জনগণকে অগ্রাধিকার দেয় এবং মানবাধিকার উন্নয়নের পথে যাত্রা শুরু করেছে। যা দেশের জাতীয় অবস্থার সাথে মানানসই এবং সময়ের প্রবণতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ফলে মানবাধিকার উন্নয়নে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জিত হয়েছে। চীন সমতা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে মানবাধিকার খাতে অন্যান্য দেশ এবং মানবাধিকার হাইকমিশনার অফিসের সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে ইচ্ছুক।
তাই পিং আরও বলেন, পশ্চিমের মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য আন্তর্জাতিক সমাজের মনোযোগ প্রয়োজন। গাজায় ৪০ হাজারেরও বেশি বেসামরিক লোকের মৃত্যুর মুখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদাসীন। দেশটি মধ্যপ্রাচ্যের দুর্যোগের জন্য দায়ী। ব্রিটেন শত শত বছর ধরে ঔপনিবেশিক শাসনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে খারাপ কাজ করেছে। চীন দৃঢ়ভাবে হাইকমিশনার অফিসকে আন্তর্জাতিক সমাজের ন্যায়বিচারের আহ্বান মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের মতো কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে তদন্ত ও জবাবদিহি করার আহ্বান জানায়।
(রুবি/তৌহিদ/সুবর্ণা)