চীনের বিদেশি বাণিজ্য স্থিতিশীলভাবে উন্নত হচ্ছে
2024-10-16 16:37:13

অক্টোবর ১৬: ‘চীনের রপ্তানির পরিমাণ টানা তিন প্রান্তিকে উন্নত হয়েছে এবং অনেক নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। চীনের অর্থনীতির প্রতি বাজারের আস্থা বাড়ছে।’ সম্প্রতি চীনের বিদেশি বাণিজ্যের সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশের পর, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ইতিবাচক মন্তব্য করেছে। তথ্যে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ৩২.৩৩ ট্রিলিয়ন ইউয়ান। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.৩ শতাংশ বেশি হয়েছে। এর মধ্যে রপ্তানি ৬.২ শতাংশ বেড়েছে, আমদানি ৪.১ শতাংশ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়, বিশ্ব অর্থনীতি এখনও পুনরুদ্ধার হচ্ছে, বিশ্ব বাণিজ্যের সংরক্ষণবাদ আরও জটিল হয়ে উঠছে। এ প্রেক্ষাপটে, চীন বিদেশি বাণিজ্যের স্থিতিশীল উন্নতি বাস্তবায়ন করেছে। যা সহজ ব্যাপার নয়।


উল্লেখ্য, এবারের উপাত্তে প্রথম দুটি ‘প্রথমবার’ ঘটেছে। প্রথমত, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ প্রথম ৩২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। দ্বিতীয়ত, প্রতি প্রান্তিকের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ১০ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি, তা ক্রমশ উন্নত হাওয়ার ধারায় রয়েছে। যা একটি নতুন রেকর্ড। এ প্রসঙ্গে রেনমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াং সিয়াও সং জানান, এদুটি ‘প্রথমবারের’ ঘটনা থেকে চীনের বিদেশি বাণিজ্যের উন্নয়নের স্থিতিশীলতা ও শক্তিশালী প্রাণশক্তি বোঝা যায়।

চীন কিভাবে এ সব সুফল অর্জন করেছে? দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খেয়াল করলে বোঝা যায় যে, এর করণ হল চীনের সম্পূর্ণ উৎপাদন শিল্প সরবরাহ চেইন, বড় আকারের অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির উচ্চগতি অগ্রগতি। চীনা পণ্যের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিতা শক্তি রয়েছে, যা অব্যাহতভাবে আন্তর্জাতিক বাজারকে সম্প্রসারণ করার ভিত্তি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া, চীনের অর্থনীতি সুষ্ঠু অবস্থায় রয়েছে, ব্যাপক বাজার, দৃঢ়তা ও সম্ভাবনাও বেশি। এ ছাড়া, সরকারের ইতিবাচক নীতিও অব্যাহত ভূমিকা রাখছে। চীনের বিদেশি বাণিজ্য উন্নয়নের ইতিবাচক উপাদান ক্রমশ বাড়ছে।


দেশের বাইরে থেকে বোঝা যায়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক চাহিদাও পুনরুদ্ধার হচ্ছে। যা চীনের রপ্তানিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। বিশ্ব ব্যাংক-সহ একাধিক সংস্থা মনে করে, বিশ্ব অর্থনীতি এখন স্থিতিশীল রয়েছে।


চীনের বিদেশি বাণিজ্যের দুটি ‘প্রথমবারে’ দেখা যায় যে, নিজের স্থিতিশীল ও উচ্চ গুণগতভাবে উন্নতের প্রবণতা। এ ছাড়া চীনও বিশ্বকে আরও বেশি উচ্চ মান, স্মার্ট ও সবুজ চীনা পণ্য সরবরাহ করছে। নতুন মানের উৎপাদন শক্তি উন্নয়নকে চীন গুরুত্ব দিচ্ছে। বিশ্বে ধারাবাহিক চীনা স্মার্ট পণ্যের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে, চীনের উচ্চ মানের সরঞ্জাম রপ্তানির পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩.৪ শতাংশ বেড়েছে। 


পাশাপাশি, আমদানি সম্প্রসারণের মাধ্যমে চীন বিশ্বের বড় বাজার ও নতুন সুযোগ ভাগাভাগি করছে। চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে চীনের আমদানির পরিমাণ অব্যাহতভাবে উচ্চ মানে রয়েছে, চীনের সাথে বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলের বাণিজ্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।


বিদেশি বাণিজ্য হচ্ছে একটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতিফলন। চীনের বিদেশি বাণিজ্যের সুষ্ঠু অবস্থা অব্যাহতভাবে মজবুত হচ্ছে। তাতে চীনের অর্থনীতির দৃঢ়তা ও  জীবনীশক্তি দেখা যায়। 


দ্রুত সপ্তম চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা শাংহাইয়ে আয়োজন করা হবে। এতে বিশ্বের নানা দেশ ও অঞ্চলের বন্ধুদের স্বাগত জানায় চীন। চীন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পছন্দের বাজার, বিশ্ব বাণিজ্য পুনরুদ্ধারের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি এবং বিশ্বের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি।

(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)