অক্টোবর ১৫: সোমবার চীনের গণ-মুক্তিফৌজের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এবং রকেট ফোর্স যৌথভাবে ‘জয়েন্ট সোর্ড-২০২৪বি’ মহড়া চালিয়েছে। যাতে করে সশস্ত্রবাহিনীর যৌথ অভিযানের সক্ষমতা যাচাই করা যায়। লিয়াওনিং বিমানবাহী রণতরীও এ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করেছে। এবারের মহড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ উস্কানিকে শক্তিশালীভাবে প্রতিরোধ করা এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও একীকরণ রক্ষায় তা যথাযথ ও প্রয়োজনীয় মিশন।
‘ তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মী’ ও ‘ শান্তি নষ্টকারী’ হিসাবে, তাইওয়ান অঞ্চলের প্রধান লাই ছিং ত্য সম্প্রতি ‘১০ অক্টোবরের’ ভাষণ দিয়েছেন। যা ‘নতুন দুই রাষ্ট্রের তত্ত্ব’কে আরও পদ্ধতিগতভাবে উন্নত করেছেন এবং আরও উস্কানি দিয়েছেন। তিনি ইচ্ছা করে তাইওয়ান প্রণালীর উত্তেজনা উন্নত করেছেন এবং গুরুতরভাবে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করেছেন। তার এমন আচরণের বিরুদ্ধে চীনের মূল ভূখণ্ড প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা নিয়েছে। যা যৌক্তিক, যথাযথ ও বৈধ।
লাই ছিং ত্য তার ভাষণে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছেন। তিনি তথাকথিত ‘চীন প্রজাতন্ত্র’ মানে তাইওয়ান, এবং ‘গণতন্ত্রের’ অজুহাতে, ‘বাইরের শক্তি নির্ভর করে বিচ্ছিন্নতা বাস্তবায়ন করার’ অপচেষ্টা চালিয়েছেন। আসলে, তিনি তাইওয়ান অঞ্চলে ‘ সবুজ সন্ত্রাস’ সৃষ্টি করছেন, যা গণতন্ত্রের চেতনা লঙ্ঘন করছে; তার কাছে ‘গণতন্ত্রের’প্রকৃত চেহারা হচ্ছে ‘তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদকে’ সেবা দেওয়া।
বর্তমানে, গণ-মুক্তিফৌজ তাইওয়ান প্রণালীতে বড় আকারের সামরিক মহড়া আয়োজন করেছে। যা একটি দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শাস্তি দেওয়ার কর্মকাণ্ড, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করার যথাযথ কর্মকাণ্ড। তার সম্পূর্ণ আইনগত ভিত্তি রয়েছে।
চীনের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে নির্দিষ্ট করা হয়েছে যে, তাইওয়ান হচ্ছে গণ-প্রজাতন্ত্রী চীনের পবিত্র ভূখণ্ডের অংশ। চীনের আইনে লেখা হয়েছে যে, ‘তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদী’ যে কোনো নামে, যে কোনো পদ্ধতিতে, চীন থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা আইন’ অনুযায়ী গণ-মুক্তিফৌজের অন্যতম মিশন হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব, একত্রীকরণ ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষা করা। একটি দেশের সশস্ত্রবাহিনী নিজের ভূখণ্ডের আওতায় মহড়া চালিয়েছে, যা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রকাশ।
উল্লেখ, গণ-মুক্তিফৌজের এবারের মহড়ার লক্ষ্য ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদের’ উস্কানির প্রতিরোধ, ব্যাপক তাইওয়ানবাসী নয়। ‘তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতা’ তাইওয়ান সাধারণ মানুষের কল্যাণের বিপরীত কাজ। যা কোনোভাবে সফল হবে না। লাই ছিং ত্যের এহেন ভাষণ একচীন নীতিকে চ্যালেঞ্জ করেছে, তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি নষ্ট করেছে এবং তাইওয়ানবাসীদের কল্যাণ গুরুতরভাবে নষ্ট করেছে। সম্প্রতি তাইওয়ানের নানা মহল এর সমালোচনাও করেছে। চীনের মূল ভূখণ্ডের এবারের প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা হচ্ছে তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং তাইওয়ানে অবস্থানরত চীনাদের কল্যাণ দৃঢ়ভাবে রক্ষার ব্যবস্থা।
শান্তি, উন্নয়ন, বিনিময় ও সহযোগিতা হচ্ছে তাইওয়ান প্রণালীর দুপারের চীনাদের অভিন্ন মনের ইচ্ছা। ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতা’ তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং দুপারের চীনাদের কল্যাণের একেবারেই বিপরীত। ‘তাইওয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদের’ উস্কানি যত দিন থাকবে, গণ-মুক্তিফৌজের দৃঢ় প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা, এবং দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষার কর্মকাণ্ড ততদিন থাকবে। লাই ছিং ত্য-সহ ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ উস্কানি যত উন্নত হচ্ছে, তত দ্রুত তাদের মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে আসছে!
(আকাশ/তৌহিদ/ফেইফেই)