অক্টোবর ১৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের সিছুয়ান প্রদেশের ছেংতুতে প্রথমবারের মতো এয়ারবাস লাইফসাইকেল সার্ভিস সেন্টারে (এএলএসসি) এয়ারক্রাফটের যন্ত্রাংশ পৃথকীকরণ এবং রিসাইক্লিং প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এটি দেশটির বিমান চলাচল খাতে একটি নতুন ধরনের সবুজ চক্রাকার অর্থনৈতিক মডেল। বিমান চলাচলের মতো একটি শিল্পের ক্ষেত্রে এই ধারণাটি কার্বন নিঃসরণ এবং পরিবেশের উপর চাপ কমানোর একটি কার্যকর উপায়।
ইতোমধ্যেই এয়ারলাইন্সের সার্ভিস সেন্টারের হ্যাঙ্গারে একটি পরিত্যক্ত এ-৩৩০-২০০ বিমানের প্রাথমিক ডিসম্যান্টলিং বা বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পৃথকীকরণের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পটি এএলএসসি, এয়ারবাস চীন এবং হেংরুই কর্পোরেশনের যৌথ প্রচেষ্টায় সম্পন্ন হচ্ছে।
এয়ারবাস লাইফসাইকেল সার্ভিস সেন্টারের ডিসম্যান্টলিং প্রকৌশলী চু চিসিয়াং বলেন, ‘আমরা বিমানটিকে বিভিন্ন জোনে বিভক্ত করবো এবং আমাদের কর্মীরা এই বিভিন্ন জোনের ভিত্তিতে বিমানের উপাদানগুলো বিচ্ছিন্ন করবে। কেবিন এবং ককপিটের উপাদানগুলোর জন্য বিচ্ছিন্ন করতে প্রায় দুই মাসের মতো সময় লাগবে। পরবর্তীতে আমরা বিমানটির ডি-ডেকোরেশন এবং কাটিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব।
ডিসম্যান্টলিং প্রকল্পের কর্মীরা জানালেন, বিচ্ছিন্ন করা বিমানের উপাদানগুলো বিমান চলাচল খাতে পুনঃব্যবহার করা হবে। এতে করে অপারেটিং ব্যয় এবং বিমানের পরিবেশগত প্রভাব কমানো যাবে। পরিত্যক্ত বিমানের বিভিন্ন উপাদানের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ নিরাপদ এবং কার্যকরভাবে পুনর্ব্যবহার করা যেতে পারে।
এয়ারবাস লাইফসাইকেল সার্ভিস সেন্টারের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ইয়াং শুতোং বলেন, ‘প্রথম বিমানটির প্রায় ৯০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারের হার অর্জন করা আমাদের লক্ষ্য। ন্যারো-বডি বিমানের তুলনায় ওয়াইড-বডি বিমান পুনর্ব্যবহারের চ্যালেঞ্জ বেশি। কারণ ওয়াইড-বডি বিমানের ফিউজলেজে অনেক কম্পোজিট উপাদান রয়েছে, যা পুনর্ব্যবহার এবং পুনঃব্যবহার করা কঠিন।’
সম্পূর্ণ দেশীয় উদ্যোগে নিজস্ব উদ্ভাবনী প্রযুক্তির মাধ্যমে এই কাজটি করছে চীন। দেশটির এই উদ্যোগ বিমান চলাচল শিল্পের জন্য একটি আদর্শ মডেল হয়ে উঠতে পারে। এটি শুধু পরিবেশ সুরক্ষার জন্যই নয়, বরং অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
শুভ/শান্তা