চীন-আসিয়ান সহযোগিতা দ্রুত উন্নত হচ্ছে: সিএমজি সম্পাদকীয়
2024-10-13 16:08:56

অক্টোবর ১৩: ৪৪তম ও ৪৫তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন সম্প্রতি লাওসের ভিয়েনতিয়েনে আয়োজিত হয়। শীর্ষ সম্মেলনের অংশ হিসেবে আয়োজিত ২৭তম চীন-আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় যে, ‘চীন-আসিয়ান অবাধ বাণিজ্য এলাকা ৩.০ আপগ্রেড’ আলোচনা সমাপ্ত হয়েছে। পূর্ব-এশিয়ার অর্থনৈতিক একীকরণের পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। সম্মেলনে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং চীন-আসিয়ান সহযোগিতাসম্পর্কিত তিন-দফা প্রস্তাবে বলেন: একটি ত্রি-মাত্রিক সংযোগ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে; উদীয়মান শিল্পগুলোতে সহযোগিতা প্রসারিত করতে হবে; এবং মানবিক খাতে বিনিময় গভীরতর করতে হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, চীন ও আসিয়ান ভবিষ্যতে বাণিজ্য সহজীকরণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের লক্ষ্যে সহযোগিতা বাড়াবে। চীন ও আসিয়ানের মোট জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ। এই দুটি খুব বড় বাজার সহযোগিতা চালালে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক একীকরণের স্তর উচ্চতর হবে, বিশ্বের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল হবে। 

তবে, এবারের শীর্ষ সম্মেলন চলাকালে কোনো কোনো পক্ষ না-হক অপতত্পরতা চালায়। যেমন, কোনো কোনো জাপানি রাজনীতিক তথাকথিত ‘এশিয়ান ন্যাটো’ ধারণা তুলে ধরে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপিন্স দক্ষিণ চীন সাগরের ইস্যুতে সংঘাত ও সংঘর্ষ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি আসিয়ানের আঞ্চলিক শান্তি ও উন্নয়ন সংরক্ষণের প্রত্যাশার পরিপন্থি। মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুহাম্মদ হাসান বলেন, আসিয়ান ন্যাটো চায় না। লাওসের প্রেসিডেন্ট থোংলুন সিসোলিথ বলেন, আসিয়ানকে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্যে অবিচল থাকতে হবে।  

এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বিভিন্ন পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, সরবরাহ-চেইনসংশ্লিষ্ট সহযোগিতা, ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নয়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সহযোগিতার মূল্যবান অভিজ্ঞতা সব পক্ষের জন্য অনুপ্রেরণা ও রেফারেন্স হতে পারে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)