‘জীবিত’ তং গ্রাম—কুয়াংসি সানচিয়াং
2024-10-12 18:38:48

সানচিয়াং তং জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলার ছেংইয়াংপাচাই হলো কুয়াংসি’র দশম জাতীয় ৫এ পর্যায়ের পর্যটনকেন্দ্র এবং একমাত্র আবাসিক ধরনের সাংস্কৃতিককেন্দ্র। এখানে কয়েক হাজার বাসিন্দার বাস। এখানে পর্যটকরা একটি ‘জীবিত’ তং গ্রাম দেখতে পারেন।

সানচিয়াং তং জাতির স্বায়ত্তশাসিত জেলা কুইচৌ, হুনান ও কুয়াংসি’র জংশন পর্বত এলাকায় অবস্থিত। দেশের পাঁচটি তং স্বায়ত্তশাসিত জেলার মধ্যে সানচিয়াং জেলার তং জাতির জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি। লিনসি থানার লিসি হ্রদের তীরে আটটি তং জাতির গ্রাম মিলে একটি চীনা সংখ্যালঘু জাতির বৈশিষ্ট্যময় গ্রাম গড়ে উঠেছে। এখানে তং জাতির ঐতিহ্যগত স্থাপত্য ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

তং জাতির কাঠের স্থাপত্য প্রযুক্তি প্রথম দফা জাতীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার নাম-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। এখানে আছে কাঠের তৈরি ড্রাম-ভবন, সেতু, মঞ্চ, ইত্যাদি। এখানকার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্য দেখা যায়।

সেতুর অন্য দিকে একটি জাদুঘর আছে। পর্যটকরা এখানে তং জাতির সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার তং ছবিচিত্র দেখতে পারেন। তং ছবিচিত্রের রং উজ্জ্বল। অতীত, বাস্তবতা ও ভবিষ্যতের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে ছবিচিত্রে বিমূর্ততা ব্যবহার করা হয়।

তং জাতির আরেকটি ধন হলো তং সূচিকর্ম। টেক্সটাইল, প্রিন্টিং ও ডাইং, পেপার-কাটিং এবং এমব্রয়ডারি একীভূত করার ঐতিহ্যবাহী কারুশিল্প হিসাবে, তং সূচিকর্মের হাজার বছরের ইতিহাস রয়েছে এবং জাতীয় অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকার নামতালিকা ও জাতীয় ঐতিহ্যগত শিল্প পুনরুজ্জীবন নামতালিকায় এটি স্থান পেয়েছে।

তং সূচিকর্মে তং জাতির মানুষের ধর্ম ও স্মৃতি ফুটে ওঠে। সূচিকর্মের অনুপ্রেরণার উৎস প্রকৃতি। ফুল, পাখি, পোকা, মাছ, মূর্য ও চাঁদ তং সূচিকর্মের উপজিব্য। ছিন কুই চেনের মাতা হলেন তং জাতির সূচিকর্মের উত্তরাধিকারী। ছিন তাঁর মাতার নামে একটি তং সূচিকর্মের দোকান খুলেছেন। দোকানটির সূচিকর্ম স্থানীয়ভাবে খুবই জনপ্রিয়।

তরুণী তিং লিয়ান শেং গ্রামে একটি পোশাক ভাড়ার দোকান খুলেছেন। পর্যটকদের জাতিগত তং জাতির পোশাক ভাড়া ও ফটোগ্রাফি পরিষেবা প্রদান করেন তিনি। তিনি বলেন, তং জাতির পোষাক পর্যটকদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয়।

এ ছাড়া, তং জাতির বৈশিষ্ট্যময় ভোজ পর্যটকদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। পর্যটকরা খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তং জাতির তরুণ-তরুণীদের গান ও নাচ উপভোগ করতে পারেন। তাদের কেউ কেউ তং জাতির মানুষের পরিবারে অতিথি হন। পর্যটকরাও স্থানীয় মানুষের সাথে নাচ-গানে অংশগ্রহণ করতে পারেন। বিভিন্ন ঋতুতে গ্রামটি বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে। (ছাই/আলিম/ওয়াং হাইমান)