অক্টোবর ১২, ঢাকা : চীনের শাংহাই আন্তর্জাতিক বিষয়ক সংস্থার সাবেক মহাপরিচালক এবং চীনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ইয়াং চিয়ে মিয়ান বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই কয়েক হাজার বছরের মানবজাতির সভ্যতার নির্মাতা, বাহক এবং প্রবর্তক। তিনি বলেন, বিশ্বে পশ্চিমাদের উপনিবেশবাদ-সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যের শিকার এবং জাতীয় মুক্তি ও স্বাধীনতার মাধ্যমে পুনরুত্থিত হয়েছে দুই দেশ।
শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের থিম ছিল ‘চীন-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পারস্পরিক শিক্ষা।’
অধ্যাপক ইয়াং বলেন, ‘আমি প্রায় পুরো পিআরসির উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অভিজ্ঞতা পেয়েছি, যা আমাকে আন্তর্জাতিক কৌশলগত অধ্যয়নের একজন পণ্ডিতের দৃষ্টিকোণ থেকে উন্নয়ন সম্পর্কে কথা বলার মতো অবস্থানে নিয়ে এসেছে।’
প্রকৃতপক্ষে, চীন ও বাংলাদেশ একই ধরনের ঐতিহাসিক স্মৃতি, বর্তমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
দুই দেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রমী উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কৃষি ও অন্যান্য শিল্প ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য আছে।
চীন ও বাংলাদেশকে নতুন সাফল্যের সঠিক উপায় অন্বেষণ করতে হবে অবিচল এবং দৃঢ়ভাবে উল্লেখ করে ইয়াং বলেন, দুই দেশের রাজনৈতিক স্বাধীনতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
ইয়াং চিয়ে মিয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং পরিবেশ দূষণ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে চীন।
তিনি আরও বলেন, দারিদ্র্য ও পশ্চাৎপদতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে শিক্ষা। এ ছাড়াও তিনি বলেন, ভবিষ্যত উন্নয়নের জন্য আরও শক্ত ভিত্তি স্থাপন করা, কর্মস্থান নিশ্চিত করা, ন্যায্যতার ভিত্তিতে সামাজিক স্থিতিশীলতাকে রক্ষা করা এবং নিজেদের পরিশ্রম, বুদ্ধিমত্তা এবং স্থিতিস্থাপকতার দুর্দান্ত সম্ভাবনাকে ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব এবং আধুনিক রূপান্তর ঘটানো সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর চায়না স্টাডিজের চীনা পরিচালক লিউ চোংই, বাংলাদেশি পরিচালক অধ্যাপক শামসাদ মুরতাযা, উপ-পরিচালক লি হোংমেই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ মাইনুল, সাস্টের শিক্ষক অধ্যাপক সাহাবুল ইসলাম, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক নুরুজ্জামানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে তরুণ শিক্ষার্থীরা সিএমজি বাংলাকে জানান, এই ধরনের আয়োজন খুবই যুগোপযোগী এবং এর ধারাবাহিকতা থাকলে তরুণদের অনেক কিছু জানার সুযোগ তৈরি হবে।
ঐশী/ফয়সল
সিএমজি বাংলা