আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যের সুবিধাজনক ব্যবস্থা বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য প্রাণশক্তি লালন করছে
2024-10-11 14:52:20

অক্টোবর ১১: জাতীয় দিবসের ছুটির ঠিক পরে তুরস্ক থেকে আমদানি করা ১৩৭৮ টন গোল্ড কন্সেনট্রেড নিয়ে একটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ ধীরে ধীরে ওয়েইহাই বন্দর টার্মিনালে পৌঁছে আনলোডিং কাজ পুরোদমে শুরু করেছে। কয়েক শ’মিটার দূরে, ওয়েইহাই কাস্টমস জাহাজের পণ্যগুলোর জন্য করারোপের কাজ করছে। ‘অভ্যন্তরীণ জলপথের মালবাহী কর্তন’ মূল্যায়ন নির্দেশিকা অনুসারে প্রায় ৫০ হাজার ইউয়ান শুল্ক বাদ দেওয়া যাবে।

নীতি লভ্যাংশ ‘কাগজ’ থেকে ‘অ্যাকাউন্টে’ চলে গেছে, বিদেশী বাণিজ্য কোম্পানির উপর বোঝা কমিয়ে দেওয়া এবং তাদের প্রাণশক্তি বৃদ্ধি করা হলো আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সুবিধার ব্যবস্থার বাস্তবায়নের প্রতিফলন।

কঠোর এবং জটিল বাহ্যিক পরিবেশের মুখোমুখি হয়ে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসন এবং জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ ১৩টি বিভাগ বেইজিং, শাংহাই, থিয়েনচিন এবং ছোংছিংসহ ২০টি প্রধান শহর আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য সুবিধার জন্য ৫ মাসব্যাপী এক বিশেষ কার্যক্রম চালিয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে ৬টি ক্ষেত্রের ৩২টি সংস্কার ও উদ্ভাবন ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি, বিভিন্ন এলাকা এবং কাস্টমস বাস্তব অবস্থা অনুযায়ি ৯৭৩টি ব্যবস্থা চালু করেছে।

১০ অক্টোবর রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসন বন্দর ম্যানেজমেন্ট অফিসের উপ-পরিচালক তাং সিও হোং এক নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, বিশেষ কার্যক্রমে ইতিবাচক ফলাফল অর্জিত হয়েছে এবং তিনটি সুবিধা বিদেশী বাণিজ্যিক কোম্পানিকে প্রদান করা হয়েছে।

প্রথমত, সময়োপযোগীতা উন্নত করা এবং গতিশক্তি বাড়ানো হয়েছে। এই বছরের বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়নের পর থেকে, রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসন পরিদর্শন ও পৃথকীকরণের অনুমোদনের সময়কে সংক্ষিপ্ত করার উপর গুরুত্ব দিয়েছে এবং তাজা কৃষি পণ্যের কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স দক্ষতা উন্নত করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, কাজাখস্তানের ভুট্টা সিনচিয়াংয়ের হরগোস বন্দরের মধ্য দিয়ে ছোংছিং পর্যন্ত পরিবহন করা হয় এবং পরিবহনের সময় কোনও প্যাকিং ও আনলোড করা হয়নি। ফলে পরিবহণের সময় পূর্বের তুলনায় ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। থিয়েনচিং শুল্কশালার নিশ্চয়তায় উত্তর চীনের প্রথম দক্ষিণ আমেরিকার ‘চেরি এক্সপ্রেস’ সুষ্ঠুভাবে চালু হয়েছে এবং বন্দরে পৌঁছানোর জন্য সবচে দ্রুততম পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে বেইজিং, থিয়েনচিন ও হেবেইয়ের প্রধান ফলের বাজারে পৌঁছে দেওয়া যাবে।

দ্বিতীয়ত, একীকরণ এবং শক্তিশালী বুদ্ধিমত্তার উপর জোর দেওয়া। কাগজবিহীন বাণিজ্যের প্রচার এবং প্রাসঙ্গিক প্রশংসাপত্রের ইলেকট্রনিক শেয়ারিং এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য ডেটার আন্তঃসংযোগের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করার মাধ্যমে বন্দরের তথ্যায়ন এবং বুদ্ধিমত্তার স্তর আরও উন্নত করা হয়েছে।

অনেক জায়গাই সরকার ও উদ্যোগের মধ্যে তথ্য বিনিময়, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের মধ্যে পারস্পরিক সহায়তা এবং সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তাসহ নানা ক্ষেত্রে প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করেছে।

তৃতীয়ত, খরচ কমানো এবং সুবিধার প্রচার করা। এন্টারপ্রাইজগুলোর জন্য লাভের অনুভূতির উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করতে সমস্ত এলাকা এবং প্রাসঙ্গিক বিভাগ আমদানি ও রপ্তানির কর এবং ফি আরও কমিয়েছে, হাই-টেক প্রযুক্তির শিল্পের বিকাশের জন্য আরও সুবিধা প্রদান করেছে এবং বিদেশী বাণিজ্যের নতুন চালিকাশক্তি চাঙ্গা করেছে।

তাং সিও হোং বলেন, পরপর্তীতে রাষ্ট্রীয় শুল্ক প্রশাসন অব্যাহতভাবে সংস্কার ও উদ্ভাবন করে যাবে এবং নানা সুবিধাজনক ব্যবস্থার বাস্তবায়নকে এগিয়ে নেবে।

(লিলি/হাশিম/স্বর্ণা)