অক্টোবর ১১: আজ (শুক্রবার) চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ে গণ-মহাভবনে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব সম্মেলন অর্থাত্ চীনের ‘পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর ফ্রেন্ডশিপ উইথ ফরেন কান্ট্রিজের’ ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছেন।
সি চিন পিং প্রথমে বিদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছবি তোলেন এবং চীনের বন্ধুত্বপূর্ণ কাজের প্রতি তাদের সমর্থনের প্রশংসা করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, জনগণের বন্ধুত্ব হল আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থিতিশীলভাবে উন্নয়নের ভিত্তি এবং বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার শক্তি। গণ-প্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছরে, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি চীনা জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে নিজের উন্নয়নের সাথে বৈশ্বিক কল্যাণকর আধুনিকায়নের পথ খুঁজে পেয়েছে। চীনের অর্জিত বিভিন্ন খাতের সাফল্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনগণের সমর্থনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। অনেক বিদেশি বন্ধু চীনা জনগণের সঙ্গে কাজ করছেন। অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে চীনের সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়নের নির্মাণে অংশ নিয়েছেন। এতে জয়-জয় সাফল্য ছাড়াও চীন ও বিদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় ও সহযোগিতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। চীনের উন্নয়নে সবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান এবং চীনা জনগণের সাথে তাদের আন্তরিক মৈত্রী- চীন সবসময় মনে রাখবে।
সি চিন পিং জোর দিয়ে বলেন, চীন বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় জোরদার করা, বেসরকারি কূটনীতির বিশেষ ভূমিকা পালন করা এবং যৌথভাবে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়তে চায়। এজন্য তিনি কয়েকটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
এক, মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনে ব্যাপকভাবে একমত হতে হবে।
দুই, সহযোগিতা ও উভয় কল্যাণের চেতনায় মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনে শক্তিশালী শক্তি যোগাতে হবে।
তিন, উন্মুক্তকরণ ও সহনশীলতার মনোভাবে মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গঠনের চিত্র রচনা করতে হবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, সিপিসি জনগণের সেবা করার পার্টি, চীন সরকার জনগণের সরকার, চীনের কূটনীতি জনগণের জন্য। চীন সরকার অব্যাহতভাবে চীন ও বিদেশের বন্ধুত্ব সম্প্রসারণ করবে।
(শুয়েই/তৌহিদ/জিনিয়া)