ঢাকা, অক্টোবর ১০, সিএমজি বাংলা:নবপত্রিকা স্নানের মাধ্যমে মহাসমারোহে আজ অনুষ্ঠিত হলো মহাসপ্তমী পূজা। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকের বাদ্য, শঙ্খধ্বনি, কলাবৌ স্থাপন আর ঘট প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গা পূজার মহাসপ্তমী অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকাসহ বাংলাদেশের সব পূজা মণ্ডপে এখন ভক্তের ভিড়। সনাতন ধর্মাবলম্বী বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজার আমেজে এখন মেতে উঠেছে উৎসবপ্রিয় বাংলাদেশ।
ঢাকার বনানী পূজামণ্ডপে আগত কয়েকজন সিএমজি বাংলাকে জানালেন নিজেদের অনুভূতি।
শ্যাম প্রসাদ পাল মহাসপ্তমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশে বর্তমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাতাবরণ যেন আগামি বছরগুলোতেও বজায় থাকে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
শিশুরা মা বাবার হাত ধরে মণ্ডপে এসেছে পুজার আনন্দ উপভোগ করতে।
শুধু যে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা এখানে এসেছেন তা নয়। বরং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে অন্য ধর্মাবলম্বীরা পূজা মণ্ডপে এসেছেন উৎসবের আমেজ অনুভব করতে।
বন্ধুর সঙ্গে পূজা মণ্ডপে এসেছেন অনেকেই।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী লেখক জুয়েল বড়ুয়া জানান, তিনি প্রতিবছরই পূজা দেখতে আসেন। তিনি মনে করেন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে বলেই এটা খুবই সাধারণ বিষয় যে অন্য ধর্মের মানুষও এখানে উৎসবের আমেজ অনুভব করতে আসেন।
সপ্তমী পুজোতে নবপত্রিকা স্নানের একটি বিশেষ তাৎপর্য্য রয়েছে । নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গাকে প্রকৃতি হিসেবে পুজো করা হয় । হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী নবপত্রিকা আসলে দেবী দুর্গার ৯টি রূপ। ৯টি বৃক্ষ নিয়ে পুজো করা হয় । প্রতিটি গাছেই দেবী কোনও না কোনও রূপে অধিষ্ঠান করেন।
ঢাকেশ্বরী, রমনা কালী মন্দির, সিদ্ধেশ্বরী, রামকৃষ্ণমিশন, জয়কালীমন্দিরসহ দেশের ৩১ হাজার ৪৬১টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
বিজয়া দশমীতে দেবী দুর্গা চলে যাবেন কৈলাসে। সে পর্যন্ত পূজার আনন্দ রয়েছে বাংলাদেশে।
শান্তা/ ফয়সল