গত মাসে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘মেঘনা কন্যা’ চীনের একটি চলচ্চিত্র উত্সবে দক্ষিণ এশিয়া থেকে নির্বাচিত একমাত্র চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হয়। চীনের দর্শকদের জন্য এটি প্রথমবারের মতো সিনেমা হলে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারা।
সেপ্টেম্বরের ২১ থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত, একাদশ রেশমপথ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব চীনের শানসি প্রদেশের রাজধানী সিআন শহরে অনুষ্ঠিত হয়। উত্সবে স্থান পেতে ১৩৬টি দেশের দুই সহস্রাধিক চলচ্চিত্র আবেদন করে, যার মধ্যে ২৪টিকে পুরস্কারের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়। পাঁচ দিন ধরে যাচাই-বাছাই করার পর, আন্তর্জাতিক জুরিদের নির্বাচিত সেরা ছবি, সেরা পরিচালক, সেরা নতুন পরিচালক, সেরা অভিনেত্রী, সেরা অভিনেতা, সেরা চিত্রনাট্য, সেরা সিনেমাটোগ্রাফি, সেরা ফিল্ম মিউজিক বা ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট, সেরা ডকুমেন্টারি ফিল্ম, সেরা অ্যানিমেশনের জন্য ‘সোনালী রেশমপথ পুরস্কার’ ঘোষণা করা হয়।
রেশমপথ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উত্সব হল ‘চীনের রেশমপথ চলচ্চিত্র সেতু প্রকল্পের’ একটি অংশ। রেশমপথের চেতনাকে উন্নত করা এবং চীনা ও বিদেশী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে সহযোগিতা ও বিনিময় বাড়ানোর জন্য উত্সবটি আয়োজন করা হয়। এ কারণে পশ্চিমা চলচ্চিত্র ছাড়াও, মধ্য-এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার অনেক চলচ্চিত্র এই উত্সবে অংশ নেয়।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ‘মেঘনা কন্যা’ প্রদর্শনের পর চীনা দর্শকদের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পায়। রেশমপথের মাধ্যমে চীনের পণ্য বিদেশে যায়, বিদেশী পণ্য চীনে আসে। চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও তাই হয়। আমরা রেশমপথের মাধ্যমে পরস্পরের কাছ থেকে শিখতে পারি। কারণ, চীনা চলচ্চিত্রে চীনাদের চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়। বিদেশিদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে এর পার্থক্য রয়েছে। বাংলাদেশি চলচ্চিত্র চীনা সিনেমা হলে প্রবেশ করেছে, যা চীনা দর্শকদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশের জীবনধারা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য দর্শকদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
(অনুপমা/আলিম/ছাই)