অক্টোবর ৮: চলতি বছর হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফরের শততম বার্ষিকী। এ উপলক্ষ্যে কলকাতায় চীনা কনস্যুলেট জেনারেল এবং বিশ্বভারতীর চীনাভবনের যৌথ আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা বিষয়ক চিন্তাভাবনা শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করা হয়। কলকাতায় নিযুক্ত চীনের কনসাল জেনারেল সুই ওয়েই এতে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া, চীনের ছয়জন রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞও এতে অংশ নেন।
বিশ্বভারতীর চীনাভবনের অধ্যক্ষ অধ্যাপক অভিজিৎ ব্যানার্জী জানান, আমরা খুব খুশি যে এ ছয়জন চীনা বিষেশজ্ঞ রবীন্দ্রনাথ সংশ্লিষ্ট সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে পারছেন। রবীন্দ্রনাথ চীনাভবন প্রতিষ্ঠা করেছেন যাতে ভারত ও চীনের মধ্যে মৈত্রী উন্নয়ন করা যায়। তিনি আরো জানান, কোভিড-১৯ মহামারীর পর ৪ বছরে এবার প্রথমবারের মত চীনা স্কলাররা শান্তিনিকেতনে সফর করছেন। আমরা আশা করি এ অনুষ্ঠানটি দু’দেশের মধ্যে মৈত্রী উন্নয়নের একটি সূচনা হিসেবে চিহ্নিত হবে।
চীনা স্কলারদের মধ্যে ৮৭ বছর বয়সী প্রফেসর তুং ইউ ছেন একজন খ্যাতিমান রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ। তিনি রবীন্দ্রনাথের রচনাবলির চীনা সংস্করণের প্রধান সম্পাদক এবং ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর বাংলা স্ট্যাডিজের সভাপতি। এটি তাঁর নবম বারের মতো ভারত সফর। তিনি ‘গ্রামীণ শিক্ষা সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধারণা এবং এর বিশ্বব্যাপী প্রভাব’ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তাঁর ভাষণ দিয়েছেন। তাছাড়া চীনের তিনজন নারী রবীন্দ্রবিশেষজ্ঞ এবং ভারতীয় ছাত্রদের সঙ্গে বাংলা ভাষায় রবীঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করেছেন।
অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল সুই ওয়েই আশা করেন যে, ভবিষ্যতে আরো বেশি চীনা পণ্ডিত ভারতে বিনিময় কাজে আসবেন এবং কনস্যুলেট জেনারেল চীন ও ভারতের সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য নিরলস চেষ্টা চালাবে।
(স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)