আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীর ভূমিকা বজায় রাখা উচিত: চীনা প্রতিনিধি
2024-10-04 19:43:04

অক্টোবর ৪: জাতিসংঘে চীনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি কেং শুয়াং গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ পরিষদের প্রাসঙ্গিক সন্ত্রাস-বিরোধী প্রস্তাবগুলো এবং জাতিসংঘের বৈশ্বিক সন্ত্রাস দমন কৌশল সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়ন করা, যৌথভাবে সমস্ত নিরাপত্তা পরিষদ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে লড়াই করা, এবং কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় সমন্বিত ভূমিকাকে শক্তিশালী করা উচিত।

একই দিনে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ষষ্ঠ কমিটি ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি সভা করেছে। কেং শুয়াং তাঁর বক্তৃতায় বলেন যে, চীন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নিম্নলিখিত প্রস্তাবগুলো পেশ করেছে:

প্রথমত, বহুপাক্ষিক সহযোগিতা মেনে চলা। সকলপক্ষের উচিত একটি অভিন্ন, ব্যাপক, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তা ধারণা বজায় রাখা, প্রতিটি দেশের নিরাপত্তাকে সম্মান করা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করা।

দ্বিতীয়ত, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা। সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানগুলো জাতিসংঘের সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিগুলো মেনে চলা উচিত, সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা উচিত এবং সকল পক্ষের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত। আমরা মানবাধিকার এবং মানবতাবাদের ভিত্তিতে অন্য দেশের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় হস্তক্ষেপ করতে পারি না, আমরা সন্ত্রাসবাদকে নির্দিষ্ট দেশ, জাতিগত গোষ্ঠী বা ধর্মের সাথে যুক্ত করতে পারি না এবং আমরা সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সমস্যাগুলোকে রাজনীতিকীকরণ করতে পারি না।

তৃতীয়ত, ব্যাপক নীতি মেনে চলা। সন্ত্রাস দমনে, আমাদের একটি নিয়মতান্ত্রিক ধারণা প্রতিষ্ঠা করা উচিত এবং যে উত্স থেকে সন্ত্রাসবাদের জন্ম হয় এমন মাটি নির্মূল করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। সন্ত্রাস দমনের প্রচেষ্টায়, আমাদের উচিত উন্নয়নের বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়া, টেকসই উন্নয়নের জন্য জাতিসংঘের ২০৩০ এজেন্ডা বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করা এবং দারিদ্র্য ও সন্ত্রাসবাদের মধ্যে দুষ্ট চক্র ভেঙ্গে দেওয়া। সন্ত্রাস দমনে, আমাদের উচিত তরুণদের সমস্যার দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং তরুণদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সমস্যা সমাধান করা।

চতুর্থত, ক্ষমতায়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া। সব পক্ষের উচিত যোগাযোগ ও সমন্বয়, তথ্য আদান-প্রদান এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় জোরদার করা, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের সন্ত্রাসবিরোধী ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করা। উদীয়মান প্রযুক্তি, বিশেষ করে সাইবারস্পেসে চ্যালেঞ্জ এবং নিরাপত্তা ঝুঁকির দ্বারা আনা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার প্রচেষ্টা করা উচিত।

(স্বর্ণা/হাশিম/লিলি)