‘তারুণ্যের অগ্রযাত্রা’ পর্ব ৮৯
2024-10-01 19:18:07

                     


‘তারুণ্যের অগযাত্রাঅনুষ্ঠানে স্বাগত জানাচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার প্রধান হাতিয়ার তারুণ্য তরুণরা চাইলেই পারে সমাজকে বদলে দিতে এজন্য দরকার তাদের চিন্তা মেধার সমন্বয় চীন বাংলাদেশের তরুণদের অফুরান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরবো এই অনুষ্ঠানে তরুণদের সৃজনশীলতার গল্পগাঁথা নিয়েই সাজানো হয়েছে আমাদের তারুণ্যের অগ্রযাত্রা  

 

৮৯ তম পর্বে যা যা থাকছে:   

১. চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং তারুণ্য নিয়ে যা বললেন নুরুল হক নুর 

২. বিদেশি যুব প্রতিনিধি দলের সিচাং সফর

 

 

১. চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং তারুণ্য নিয়ে যা বললেন নুরুল হক নুর 

চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আগামীতে একটি নতুন উচ্চতায় এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।  তিনি আরও বলেন, তরুণদের হাত ধরেই বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং সেই বাংলাদেশের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে, মর্যাদার ভিত্তিতে। সম্প্রতি সিএমজি বাংলাকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি রাষ্ট্র সংস্কারে তারুণ্যের ভূমিকা এবং দুই দেশের সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন। 

 

চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো বহুল জনসংখ্যার দেশে বাণিজ্যখাতে চীনের একটা বড় দখল আছে উল্লেখ করে নুরুল হক নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের শতভাগ শুল্কমুক্ত কোটায় চীনে বাণিজ্য করার একটি বড় সুযোগ আছে। এটিকে কাজে লাগাতে হবে।’ 

দুই দেশের সম্পর্ক যতো স্পষ্ট হবে, যতো ন্যায্যতার ভিত্তিতে হবে ততোই দুই দেশ উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন নূর।   

এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে গত দেড় দশকে একটা সরকার ছিলো যাদের সঙ্গে জনগণের সমর্থন ছিলো না। ৫ আগস্টের গণঅভ্যত্থানের পর বাংলাদেশ এখন নতুন দিকে এগুচ্ছে, তারুণ্যের হাত ধরে। বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকেও চীনের বোঝা দরকার।’

‘এতোদিন দেখা গেছে বাংলাদেশের উচ্চ শিক্ষিত তরুণদের একটি বড় অংশই শিক্ষার জন্য আগ্রহী ছিলো পশ্চিমা দেশের প্রতি। এখন ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল এবং বিভিন্ন বিষয়ে পিএচডি করতে অনেক তরুণ চীন যাচ্ছে।’ 

আমরা আশা করি,  চীনের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে, আরও বিস্তৃত হবে। বিশেষ করে কাজের ক্ষেত্রে- শিক্ষা, সংস্কৃতি বাণিজ্যের দিক থেকে।

দুই দেশের সম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে চায়না মিডিয়া গ্রুপ ভালো একটা ভূমিকা রাখতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  


সাক্ষাৎকার গ্রহণ : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

 

২. বিদেশি যুব প্রতিনিধি দলের সিচাং সফর

 

সম্প্রতি চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সিচাং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পরিদর্শন করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় এক দল বিদেশি যুবককে। চীনের নিয়মিত কূটনৈতিক প্রচারের অংশ হিসেবে চলতি বছর বিভিন্ন সময় তরুণদের এই আমন্ত্রণ জানানো হয়। এবার ১২ জনের একটি দল সিচাং অঞ্চল পরিদর্শন করেন। 

এর মাধ্যমে চীন সম্পর্কে আরও ভালো জানার সুযোগ হয় তাদের।  ১০ টি দেশ থেকে আসা এই তরুণরা মিডিয়া এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। 

এই অঞ্চলের রাজধানী লাসায়, দলটি বিখ্যাত পোতালা প্রাসাদ এবং চোখাং মন্দির ভ্রমণ করেন। একটি ঐতিহাসিক অপেরা , একটি স্কুল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সিচাংয়ের ইতিহাস, শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

চীনের বর্তমান সরকারের অধীনে স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো আরও বেশি সমৃদ্ধ এবং আধুনিক জীবনযাপন করছে। এইটা শাসনব্যবস্থার সাফল্যের উদাহরণ বলে জানান তরুণ প্রতিনিধিরা।

এই অঞ্চলের আধুনিকীকরণে মুগ্ধ কানাডার ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-অপারেটিভ এডুকেশন কো-অর্ডিনেটর মরিয়ম রাজ্জাক। 


"আমি সবসময় জানতাম যে এই অঞ্চলে বৌদ্ধধর্ম অনেক বেশি চর্চা করা হয়। আমি মনে করি এই ভ্রমণ আমাদের জন্য খুব  আকর্ষণীয় ছিল।  কারণ এই অঞ্চলটি কতোটা নিরাপদ এবং সংরক্ষিত তা আমাদের জানার দরকার ছিলো। আমরা এখানকার আমি ধ্বংসাবশেষ দেখেছি, এমন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়েছি যেখানে শিশুরা শুধু ইংরেজি এবং ম্যান্ডারিন ভাষাই শিখছে না বরং শিশুরা বহুভাষিক হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। শুধুমাত্র অতীতের সংস্কৃতিকে নয়, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারে তাদের সক্ষম করে তোলা হচ্ছে। সত্যিকার অর্থে অঞ্চলটির আধুনিকীকরণে সরকার যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তা দেখে আমি মুগ্ধ।’

 

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত চারদিনের এই সফরটি শুরু হয় নিংছি থেকে। সেখানে তরুণ প্রতিনিধিরা একটি গ্রাম পরিদর্শন করেন। এই গ্রামের আবাসন সরকারি ভর্তুকিযুক্ত। এরপর তারা সিচাং প্রোগ্রামের মাধ্যমে অর্থায়ন করা একটি তিব্বতি সংস্কৃতি জাদুঘর এবং একটি জাতীয় পরিবেশবান্ধব জলাভূমি পার্ক পরিদর্শন করেন। 

প্রতিবেদক : রওজায়ে জাবিদা ঐশী

আমাদের ‘তারুণ্যের অগযাত্রা’ আজ এই পর্যন্তই। পরবর্তী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি আমি রওজায়ে জাবিদা ঐশী। শুভকামনা সবার জন্য। আল্লাহ হাফেজ।

 

পরিকল্পনা ,পরিচালনা ও সঞ্চালনা : রওজায়ে জাবিদা ঐশী 

অডিও সম্পাদনা: রফিক বিপুল

 সার্বিক সম্পাদনা: ইয়ু কুয়াং ইউয়ে আনন্দী