সুপ্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনছেন বেইজিং থেকে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুনবেন ‘তোমার জন্য গান’। আপনাদের সঙ্গে আছি আমি মুক্তা। সবাই ভালো আছেন তো? আশা করছি আপনারা সুস্থ আছেন এবং আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন।
(গান ১)
বন্ধুরা, আপনারা শুনছিলেন চীনের একজন জনপ্রিয় গায়ক ও উপস্থাপক তা চাং ওয়েই’র গান ‘কুল’। আজকের অনুষ্ঠানে আমি চাং ওয়েই’র কথা বলব। তিনি তাঁর মজাদার উপস্থাপনা-স্টাইলের জন্য পরিচিত। বন্ধুরা, এখন শুনুন তা চাং ওয়েই’র খুবই জনপ্রিয় একটি গান ‘সানশাইন রেইনবো ছোট্ট সাদা ঘোড়া’। এ গানটি সে বছর সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের পুরস্কার পায়। বন্ধুরা, এখন গানটি শুনুন।
(গান ২)
বন্ধুরা, শুনছিলেন তা চাং ওয়েই’র কন্ঠে ‘সানশাইন রেইনবো ছোট্ট সাদা ঘোড়া’ শীর্ষক গান। তা চাং ওয়েই ১৯৮৩ সালে চীনের বেইজিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন। খুব ছোটবেলা থেকেই তার মধ্যে সংগীত-প্রতিভা দেখা যায়। প্রাথমিক স্কুলে পড়ার সময় তিনি গ্যালাক্সি শিশু আর্ট ট্রুপে অংশ নেন এবং বিভিন্ন দেশে পারফর্ম করেন। ১৯৯৮ সালে একজন বিখ্যাত সংগীত প্রযোজকের উদ্যোগে তা চাং ওয়েই ও অন্য দুটি ছেলে চীনের প্রথম অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষের রক ব্যান্ড—‘ফুল ব্যান্ড’ প্রতিষ্ঠা করে এবং তিনি ব্যান্ডের প্রধান গায়কের ভূমিকা পান। ১৯৯৯ সালে ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘সুখের পাশে’ প্রকাশিত হয়। তাদের গানগুলো প্রকাশ হতেই অনেক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বন্ধুরা, এখন শুনুন এই অ্যালবামের একটি জনপ্রিয় গান ‘এক নাইস’।
(গান ৩)
বন্ধুরা, শুনছিলেন তা চাং ওয়েই’র ব্যান্ডের ‘এক নাইস’ শীর্ষক গান। ২০০১ সালে ফুল ব্যান্ড দ্বিতীয় অ্যালবাম প্রকাশ করে। ব্যান্ডের সদস্যরা সব ছাত্র। তাদের গানগুলো ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কিশোরদের উপযোগী রক সংগীত রচনা করা তাদের একটি বৈশিষ্ট্য। একসময় তাদের গান চীনা রক সংগীতে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করে। বন্ধুরা, এখন এই অ্যালবামে তা চাং ওয়েই’র গাওয়া একটি সুন্দর গান ‘আমি প্রেমের গান গাইতে পছন্দ করি না’ শুনুন।
(গান ৪)
বন্ধুরা, শুনছিলেন তা চাং ওয়েই’র কন্ঠে ‘আমি প্রেমের গান গাইতে পছন্দ করি না’ শীর্ষক গান। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল শেষ করে ফুল ব্যান্ড নতুন অ্যালবাম ‘আমি তোমার রোমিও’ প্রকাশ করে। ২০০৫ সালে ফুল ব্যান্ড অ্যালবাম ‘ফুলের রাজবংশ’ প্রকাশ করে। এই অ্যালবামে তা চাং ওয়েই’র রচিত একটি মজার গান ‘সি শুয়া শুয়া’ অপ্রত্যাশিতভাবে অনেক জনপ্রিয় হয়। পরে তা চাং ওয়েই’র প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়। বন্ধুরা, এখন এই গানটি শুনবো।
(গান ৫)
বন্ধুরা, শুনছিলেন তা চাং ওয়েই’র কন্ঠে গান। গান ‘সি শুয়া শুয়া’ ব্যাপক জনপ্রিয় হওয়ার পর মজার সংগীতশৈলী তা চাং ওয়েই’র বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়। পরের অ্যালবামে তিনি এই বৈশিষ্ট্যের গান রাখেন। সেগুলোও জনপ্রিয়তা পায়। বন্ধুরা, এখন শুনুন তা চাং ওয়েই রচিত একটি জনপ্রিয় গান ‘খুবই খুশি’। (মুক্তা/আলিম/ওয়াং হাইমান)