সেপ্টেম্বর ২৬: চীনের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য এবং দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, মানবাধিকার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশের কারসাজি কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এ ক্ষেত্রে হেরফের ঘটানোর জন্য তারা অজনপ্রিয় হয়েছে। গতকাল (বুধবার) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এবং বেশ কয়েকটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী’র সাথে বৈঠকের সময় এ কথা বলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ওয়াং ই বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের মানবাধিকার সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র এবং আরও কয়েকটি দেশ সিন চিয়াংকে ব্যবহার করে চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আক্রমণ ও অপপ্রচার করে। ব্যাপক সংখ্যক মুসলিম দেশসহ প্রায় ৮০টি দেশ ঘটনাস্থলেই চীনের সমর্থনে একটি যৌথ বিবৃতি পড়ে শোনায় এবং ২০টিরও বেশি দেশ বিভিন্নভাবে চীনের ন্যায্য অবস্থানকে সমর্থন করে। সে সব দেশ সপষ্টভাবে মানবাধিকার ইস্যুগুলোর রাজনীতিকরণ এবং মানবাধিকারের অজুহাতে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে। ১০০টিরও বেশি দেশ থেকে স্পষ্ট কণ্ঠস্বর সম্পূর্ণরূপে প্রমাণ করে যে, যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়েকটি দেশের রাজনৈতিক কারসাজি ক্রমশ কুখ্যাত হয়ে উঠেছে।
ওয়াং ই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো কয়েকটি দেশের আচরণে আবারও বিশ্বের সামনে উন্মোচিত করেছে যে দ্বৈত মান কী। সবার কাছে এমন একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে, যুক্তরাষ্ট্র মুসলমানদের মানবাধিকারের ওপর এত যত্নশীল, তাহলে, কেন মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য অঞ্চলে যুদ্ধের উসকানি বা সমর্থন করে চলেছে, যার ফলে বিপুল সংখ্যক নিরীহ মুসলিমের হতাহতের ঘটনা ঘটছে? কেন আরব জনগণের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক অবিচারের প্রতি অন্ধ দৃষ্টি রাখছে এবং কেন ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়া সমর্থন করেন না? গাজা থেকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং ব্যাপকভাবে সৈন্য প্রত্যাহারের ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে না কেন?
ওয়াং ই বলেন, ব্যাপক মুসলিম দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল দেখেছে এবং বুঝতে পেরেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র কেবলমাত্র চীন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টায় মানবাধিকার ইস্যুকে ব্যবহার করছে।
(রুবি/হাশিম/প্রেমা)