বাংলাদেশ ও চীনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির অবিস্মরণীয় মিশেলে ভরপুর সন্ধ্যা
2024-09-26 19:42:41

সেপ্টেম্বর ২৬, সিএমজি বাংলা, ঢাকা: গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজন করা হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।

এতে আগত অতিথি ও দর্শকদের মধ্যে মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে দেয় চীন-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। দুই দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও চীনের সমৃদ্ধ সংস্কৃতির এক অবিস্মরণীয় মিশেলে উপহার দেওয়া হয় ভরপুর এক সন্ধ্যা।

‘চাইনিজ ন্যাশনাল ডে’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকায় অবস্থিত চীনা দূতাবাস। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশে জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়াকে আরও বৃদ্ধি করা।

অনুষ্ঠানে চীনের ইয়ুননান ভোকেশনাল কলেজ অব কালচারাল অ্যান্ড আর্টস থেকে আগত এক দল শিল্পী চীনের ঐতিহ্যবাহী নাচ, গান ও নৃত্য পারিবেশন করে অনুষ্ঠানকে আরও জমজমাট করে তোলেন। তাদের নৃত্যের শৈলী ও গানের মধুর সুর দর্শকদের মন্ত্রমুগদ্ধ করে।

এই শিল্পীদের নেতৃত্বে ছিলেন ইয়ুুননান ‍ওভারসিজ  কালচার অ্যান্ড এডুকেশন সেন্টারের পরিচালক লিয়াও লিয়াং।

সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার শুরুতেই মনোমুগ্ধকর চীনা গানের সঙ্গে দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এরপর মঞ্চে পরিবেশন করা হয় একক সঙ্গীত।

এরপর শিল্পীরা একে একে মঞ্চে তুলে ধরেন বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা। বিশেষ করে অ্যাক্রোবেটিক দলের বৈচিত্র্যময় উপস্থাপনা আয়োজনে যুক্ত করে বৈচিত্র্য। এভাবেই সুন্দরের প্রতিচ্ছবি এঁকে প্রায় ঘণ্টা ব্যাপ্তির অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পরিবেশনা উপস্থাপন করে শিল্পীরা।

এছাড়া অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউট এবং শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটির কনফুসিয়াস ক্লাসরুমের চীনা শিক্ষকরা চীনের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন বস্তু, ঐতিহ্যবাহী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শন এবং বিভিন্ন ধরনের চায়ের সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ইয়াং হুই বলেন, ‘আমরা এখানে বিভিন্ন ধরনের চা এবং চায়ের সেট প্রদর্শন করছি। আপনি জানেন চায়ের বাড়ি চীনে। এখানে আমরা গ্রিন টি, ব্লাক টি, হোয়াইট টি, উলং টিসহ আরও অনেক ধরনের চা প্রদর্শন করছি। এছাড়া আপনি জানেন চীনের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ক্যালিগ্রাফির। আমরা এখানে দর্শনার্থীদের জন্য ক্যালিগ্রাফি তৈরি করে দিচ্ছি। যাতে তারা এটি উপভোগ করতে পারে।’

অনুষ্ঠানের একেবারে শেষে বাংলাদেশের শিল্পীরা বিভিন্ন দেশাত্বোবোধক গান পরিবেশন করেন।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনা শুধুমাত্র মনোরঞ্জনের বিষয় নয়, শিক্ষারও মাধ্যম। এটি অতীতের সঙ্গে যুক্ত রেখে ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রাণীত করে। এমন আয়োজনের মাধ্যমে আবারও প্রকাশিত হলো দুই বন্ধু রাষ্ট্রের সম্পর্কের উষ্ণতা। এর মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা দুই দেশের নাগরিকদের।

শুভ/শান্তা