বাণিজ্যবিরোধকে রাজনীতিকরণ না করতে জার্মানিকে আহ্বান ওয়াং ই’র
2024-09-25 19:49:42


সেপ্টেম্বর ২৫, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ইস্যুকে রাজনীতিকরণ করা এবং শুল্ক ব্যবস্থার অপব্যবহার কারও স্বার্থে কাজ করবে না। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এমনটা বলেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যবিরোধ নিষ্পত্তিতে রাজনীতির পরিবর্তে বার্লিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) আলোচনা ও পরামর্শের আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়াং।


জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের জন্য নিউইয়র্কে আসার পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ওয়াং ই এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবকের মধ্যে বৈঠকটি হয়েছিল। তাদের বৈঠকের পটভূমি ছিল চীনের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ির ওপর ইইউ’র অতিরিক্ত শুল্কারোপ।


ওয়াং বলেন, চীন-ইইউ সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে পারস্পরিক কল্যাণকর সহযোগিতা। চীনা আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর ক্ষেত্রে দুই পক্ষের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যকে রাজনীতিকরণ করাটা কারও স্বার্থে কাজ করবে না এবং এই পদক্ষেপগুলো বিশ্ব অর্থনীতির সবুজ পরিবর্তনেও উপকার করবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন জার্মানি এবং ইইউ উন্মুক্ত সহযোগিতায় অটল থাকবে, চীনের সঙ্গে সংলাপ ও পরামর্শ চালিয়ে যাবে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করবে।


ওয়াং বলেন, বিশ্বের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে চীন ও জার্মানি একে অপরের উন্নয়ন থেকে উপকৃত হতে পারে।


জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বায়েরবক বলেছেন, চীন জার্মানির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার, এবং দুই পক্ষের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিস্তৃত ক্ষেত্র রয়েছে, যা পারস্পরিকভাবে উপকারী এবং বিজয়ী ফলাফল দেবে।


তিনি আরও জানান, এক-চীন নীতি মেনে চলার পাশাপাশি জার্মান পক্ষ অবাধ বাণিজ্য ও ন্যায্য প্রতিযোগিতায় বিশ্বাস করে, পাশাপাশি আলোচনার মাধ্যমে উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ উপায়ে মতপার্থক্য নিরসনেও বিশ্বাস করে। 


বায়েরবক বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম একক বাজার হিসেবে ইইউ’র বাজার উন্মুক্ত রাখার চেষ্টা করা উচিত। তিনি যোগ করেন, আন্তর্জাতিক বিষয়ে চীনের ভূমিকাকে জার্মানি গুরুত্ব দেয় এবং চীনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে ইচ্ছুক।


ওয়াং বলেন, চীন সবসময় জাতিসংঘের মূল বিষয়গুলো মোকাবেলায় অগ্রণী ভূমিকাকে সমর্থন করেছে। চীন সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে ইচ্ছুক বলেও জানান তিনি।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন সংকট এবং মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়েও মতবিনিময় করেন।


ফয়সল/শান্তা