সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকসান্ডার ভুসিক সম্প্রতি দেশটিতে চীনা প্রতিষ্ঠানের ইউরোপে প্রথম টায়ার কারখানার ব্যাপকভিত্তিক উৎপাদন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশটির বৃহত্তম গ্রিনফিল্ড বিনিয়োগ প্রকল্পটি আঞ্চলিক উন্নয়ন বেগবান করবে এবং দু’দেশের সহযোগিতার শক্তিশালী সাক্ষী হবে।
ভাষণে তিনি আরো বলেন, চীন সবসময় দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দু’দেশের নেতাদের মৈত্রী ছাড়া “এসব বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।” প্রকল্পটি জ্রেনজানিন শহর ও নিকটবর্তী বানাত অঞ্চলের ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটাবে এবং এ অঞ্চলের চেহারা পাল্টে দেবে। আর্থিক আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় সরকারের দীর্ঘকালের সড়ক অবকাঠামো ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান করার সক্ষমতাও অর্জিত হবে।
দেশটিতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি মিং বলেন, দু’দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের নেতৃত্বে চীন ও সার্বিয়ার জনগণ লৌহদৃঢ় মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ থেকে, উচ্চমানে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নির্মাণ বেগবান করে, ভালো ফলাফল অর্জন করেছে।
লিংলোং টায়ার কোং, লিমিটেড ব্যাপক উৎপাদন বাস্তবায়ন করা হলো দু’পক্ষের পারস্পরিক কল্যাণ ও উভয়ের জন্য কল্যাণকর উদাহরণ এবং পুরোপুরিভাবে চীনা প্রতিষ্ঠানের সার্বিয়ার উন্নয়ন ভবিষ্যতের প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
লিংলোং টায়ারের তথ্য অনুযায়ী, ৯৯ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের কারখানার নির্মাণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মোশন সেন্সিং, শিল্প বিগডেটা এবং শিল্প রোবটসহ বিভিন্ন অগ্রবর্তী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছ। কারাখানাটি বছরে ১.৩৬২ কোটি উচ্চমানের রেডিয়াল টায়ার উৎপাদনে সক্ষম। (প্রেমা/হাশিম)