চাঁদের বিবর্তনের ইতিহাস বদলে দিতে পারে ছ্যাং’এ ৬-এর নমুনা
2024-09-22 17:24:27

সেপ্টেম্বর ২২, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের চন্দ্রমিশন ছ্যাং’এ-৬ এর নিয়ে আসা নমুনা গবেষণা করে চাঁদের রহস্যময় দূরবর্তী প্রান্তের কিছু অভূতপূর্ব ফল পাচ্ছেন চীনা গবেষকরা। চাঁদের পরিচিত প্রান্তের সঙ্গে অপর প্রান্তের পার্থক্যটাও আরও পরিষ্কার হচ্ছে এবং এসব ফলাফল চাঁদের বিবর্তন নিয়ে নতুন করে ভাবাচ্ছে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি এমনটা জানিয়েছেন ছ্যাং’এ-৬ মিশনের উপপ্রধান নকশাকার লি ছুনলাই।

সাম্প্রতিক এ মিশনে প্রথমবারের মতো চাঁদের দূরবর্তী দক্ষিণ মেরুর আইটকেন বেসিন থেকে এক হাজার ৯৩৫ দশমিক ৩ গ্রাম নমুনা এনেছে চীনা মিশন। চাঁদের বুকে গ্রহাণুর আঘাতে সৃষ্ট প্রাচীনতম গর্তটি থেকে পাওয়া এ নমুনার কারণেই নতুন করে লেখা হতে পারে চাঁদের গাঠনিক ইতিহাস, জানা যেতে পারে সৌরজগতের বিবর্তন নিয়ে নতুন তথ্য।

লি জানালেন, চাঁদের গভীরতম গর্ত হিসেবে, ওই অঞ্চল চন্দ্রাবরণসহ চাঁদের অন্য গভীর স্তরের তথ্যও সঞ্চয় করে রেখেছে।

গবেষকরা জানান, দূরবর্তী প্রান্তের নমুনাগুলো এখনও প্রাথমিক প্রক্রিয়াকরণ এবং বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে চীনের গবেষণায় ওই রহস্যময় অঞ্চলের অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে শুরু করেছে।

লি জানালেন, গবেষণা দলটি সম্প্রতি আবিষ্কার করেছেন, ছ্যাং’এ-৬ এ করে আসা চাঁদের মাটির নমুনাগুলো আগের নমুনার চেয়ে কম ঘনত্ব সম্পন্ন। এগুলো আরও ঝরঝরে। এ নমুনার প্ল্যাজিওক্লেইজ খনিজের পরিমাণ আগের নমুনার চেয়ে বেশি। আবার এর মাঝে পাথর তৈরির অন্যতম উপাদান অলিভিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কম।

গবেষণায় আরও প্রকাশ করা হয়েছে, ছ্যাং’এ ৬-এর নমুনাগুলো প্রাথমিকভাবে ব্যাসাল্ট, ব্রেসিয়া, অ্যাগ্লুটিনেট, কাচ ও লিউকোক্রেট দিয়ে গঠিত। নমুনাগুলির ভূ-রাসায়নিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ওগুলোর ভেতর থোরিয়াম, ইউরেনিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো ট্রেস উপাদানগুলোর ঘনত্ব অ্যাপোলো মিশন ও ছ্যাং’এ-৫ মিশনে পাওয়া নমুনাগুলোর চেয়ে আলাদা।

তবে গবেষকরা এখনও গবেষণালব্ধ ফলগুলোকে প্রাথমিক বলছেন। আরও গবেষণার পর এ উপাদানগুলোর গঠনের ইতিহাসে আরও কিছু জানা যাবে বলে আশা করছেন তারা।

ফয়সল/নাহার

তথ্য ও ছবি: সিসিটিভি