সেপ্টেম্বর ২০: চীন ও জাপানের প্রাসঙ্গিক বিভাগগুলি সম্প্রতি ফুকুশিমা দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুত্ কেন্দ্র থেকে পারমাণবিক দূষিত পানি সমুদ্রে ফেলার বিষয়ে একাধিক দফা আলোচনা অব্যাহত রেখেছে এবং বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
প্রথমত, জাপান স্পষ্ট করে বলেছে যে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তার বাধ্যবাধকতা আন্তরিকভাবে পূরণ করবে, মানবদেহ ও পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব এড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবে এবং সামুদ্রিক পরিবেশ ও সামুদ্রিক পরিবেশের উপর প্রভাবের মূল্যায়ন চালিয়ে যাবে। দ্বিতীয়ত, জাপান আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার কাঠামোর অধীনে সমুদ্রে নিষ্কাশনের মূল দিকে একটি দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকে স্বাগত জানায়। এটি নিশ্চিত করবে যে, স্বাধীন নমুনা পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষাগার বিশ্লেষণ এবং চীন ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দেশের তুলনা কার্যকর করা যেতে পারে। তৃতীয়ত, দু’পক্ষ একমত হয়েছে যে, বিজ্ঞান-ভিত্তিক গঠনমূলক সংলাপ চালিয়ে যাবে এবং নিষ্কাশন উদ্বেগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করবে। চতুর্থত, চীন বলেছে যে, প্রাসঙ্গিক চীনা আইন ও প্রবিধান এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, চীন জাপানের জলজ পণ্যের ওপর জরুরি প্রতিরোধমূলক অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। চীন কার্যকরভাবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার কাঠামোর অধীনে দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণে অংশগ্রহণ করবে এবং অংশগ্রহণকারী দেশগুলির দ্বারা স্বাধীন নমুনা গ্রহণের মতো পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়নের পর, বৈজ্ঞানিক প্রমাণের ভিত্তিতে প্রাসঙ্গিক ব্যবস্থাগুলি সামঞ্জস্য করবে এবং নিয়ম অনুযায়ী ধীরে ধীরে জাপানি জলজ পণ্যের আমদানি আবারও শুরু করবে।
(জিনিয়া/তৌহিদ/ফেই)