উপগ্রহ নেভিগেশন ব্যবস্থা ছাড়া আধুনিক জীবন কল্পনা করা যায় না। বর্তমানে বিশ্বে চারটি উপগ্রহ নেভিগেশন ব্যবস্থা কার্যকর রয়েছে: যুক্তরাষ্ট্রের জিপিএস, রাশিরার গ্লোনাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্যালিলিও, এবং চীনের পেইতৌ উপগ্রহ নেভিগেশন ব্যবস্থা (বিডিএস)।
সম্প্রতি চীনের গ্লোবাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (জিএনএসএস) এবং অবস্থানভিত্তিক পরিষেবা (এলবিএস) অ্যাসোসিয়েশন একটি পেইতৌ শিল্প উন্নয়ন সূচক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনের পেইতৌ নেভিগেশন শিল্প ব্যাপকভাবে উন্নত করা হয়। এ শিল্পের উন্নয়ন সূচক ১৪৩১-তে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.০৭ শতাংশ বেশি। এ থেকে জানা যাচ্ছে যে, পেইতৌ শিল্প দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে, এর উচ্চমানের উন্নয়ন ঘটেছে, এবং ব্যাপকভাবে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিডিএস বিশ্বের ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা দিয়ে থাকে। এসব সেবার মধ্যে আছে: পজিশনিং, ন্যাভিগেশান, টাইমিং, ও ইউনিক শর্ট ম্যাসেজ সেবা। সারাবিশ্বে ১৩৭টি দেশ বিডিএস-এর সাথে সহযোগিতাচুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভ্রমণের সময় বিডিএস-সমৃদ্ধ নেভিগেটর দিয়ে রুট পরিকল্পনা করা যায়; কৃষি উত্পাদনে বিডিএস দিয়ে বপন, সার প্রয়োগ, ও ফসল কাটাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়া যায়; স্মার্ট শহর বিনির্মাণে বিডিএস কর্তৃক সরবরাহকৃত তথ্য-উপাত্তের সাহায্য নেওয়া যায়, ইত্যাদি। বিশেষ করে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার মতো জরুরি পরিস্থিতিতে, সনাতন যোগাযোগ-পদ্ধতি ব্যর্থ হতে পারে। এ সময় বিডিএসের অনন্য সংক্ষিপ্ত বার্তাব্যবস্থা কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
(অনুপমা/আলিম/ছাই)