সেপ্টেম্বর ১৭, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: মধ্যশরৎ উৎসবে চাঁদে একটি খরগোশকে দেখা যায়। কিভাবে সেই খরগোশ পৌছে গেল চাঁদে? এর পিছনে রয়েছে একটি চমৎকার গল্প। অনেক বছর আগে এক বনে বাস করতো তিনটি প্রাণী।
একটি খরগোশ, একটি বানর ও একটি শিয়াল। তারা তিনজনেই ছিল খুব ধর্মপ্রাণ। তাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ধর্মপ্রাণ ও অতিথিবৎসল না দেখার জন্য তিনজন অমর মানুষ বা তিনজন দেবতা সেই বনে আসেন ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে। তারা খাদ্য ভিক্ষা করেন। বানর ও শিয়াল তাদের নানা রকম খাদ্য দান করে। খরগোশ ছিল দরিদ্র, তার কাছে কোন খাবার ছিল না। কিন্তু সে ছিল সবচেয়ে বেশি ধার্মিক। খরগোশ তার দুয়ারে আগত অতিথিদের বলে, ‘আমি দুঃখিত, আমার কাছে কোন খাবার নেই। কিন্তু আমি নিজেকেই আপনাদের সেবায় উৎসর্গ করছি।’ এই বলে সে আগুনে লাফিয়ে পড়ে যেন তার মাংস খেয়ে অতিথিরা ক্ষুধা নিবৃত্তি করতে পারে।
খরগোশের এই আত্মত্যাগে অমর দেবতারা আপ্লুত হন। তারা খরগোশকে জীবন দান করে পবিত্র জেড পাথরের বানিয়ে দেন এবং তাকে অমর করে চাঁদের প্রাসাদে স্থান দেন। সেখানে সে চন্দ্রদেবী ছ্যাং এ্যর সঙ্গে সুখে আছে।
চীনের শিশুরা চাঁদে খরগোশটিকে দেখতে পায় মধ্য শরৎ উৎসবের রাতে।
শান্তা/ফয়সল